গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার নিয়ে কেউ কথা বলে না: ইফতেখারুজ্জামান
Published: 4th, May 2025 GMT
দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে ‘এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম’ আখ্যায়িত করেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, মুক্ত সাংবাদিকতা হোক, মানুষের অধিকার হোক, গণতান্ত্রিক চর্চা হোক, সব কটাকে ধ্বংস করে কর্তৃত্ববাদের বিকাশের নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অথচ গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার নিয়ে কেউ কথা বলে না।
উল্লেখ্য, এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম মানে হলো, একটি বড় সমস্যা বা বিতর্কিত বিষয় যা সমাজে বিদ্যমান কিন্তু আলোচনার ক্ষেত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়।
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ: রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে ইউনেসকো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও সুইডেন দূতাবাস।
আরও পড়ুনন্যায্য পারিশ্রমিক ও নীতিসহায়তা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে জরুরি: কামাল আহমেদ৪ ঘণ্টা আগেইফতেখারুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সংস্কার নিয়ে কেউ কথা বলে না। সংস্থাগুলোয় এখন কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে। বাস্তবে কোথাও চর্চার পরিবর্তন হয়নি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তারা যে সিস্টেম ডেভেলপ করেছে, যে মেথড ডেভেলপ করেছে, যে ইনস্ট্রুমেন্ট ডেভেলপ করেছে, যেগুলো করায়ত্ত করেছে, সেগুলো তাদের হাতে বহাল আছে। আমরা সবাই মনে করছি, মোবাইলটা এখন রেকর্ড হয় না। কে নিশ্চয়তা দিতে পারবে এটার?’
আরও পড়ুনসাংবাদিকদের প্রশ্ন করা যাবে না, আমি এটা চাই না: তথ্য উপদেষ্টা২ ঘণ্টা আগেবাস্তবিক সংস্কার চাইলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, দেশে গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন আছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে। সেটার দায়িত্ব তাদের। অন্তর্বর্তী সরকার এবং পরবর্তী যে সরকার আসবে, তাদেরও বুঝতে হবে যে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ম্যান্ডটটা (এখতিয়ার) কী এবং সেভাবেই তাদের কার্যক্রমকে সঙ্গায়িত করতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইফত খ র জ জ ম ন
এছাড়াও পড়ুন:
শামীম হাসানের নতুন সিদ্ধান্ত, ইরফান সাজ্জাদের সতর্কবার্তা
ছোট পর্দার আলোচিত নাম শামীম হাসান সরকার। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও স্বল্প সময়ে টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। সহজাত অভিনয়শৈলী আর হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের দক্ষতা তাকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। ওয়েব সিরিজ, মঞ্চনাটক এবং বিজ্ঞাপনেও রেখেছেন সফল পদচারণা।
শামীম হাসান সরকারের অভিনয়ের প্রশংসা যেমন তার ভক্তরা করেন, তেমনই তার সমালোচকেরও অভাব নেই। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেতা। গল্পে পরিবর্তন না আনলে শুটিং সেটে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
আলোচিত হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন?
গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ
শামীম হাসান সরকার বলেন, “সামনের মাস থেকে গল্পে যদি পরিবর্তন না আনেন আমি কাজ করতে যাচ্ছি না। দিন শেষে আমি ‘একই রকম অভিনয় করি’ বা ‘হাউ কাউ’ করি এই কথাটা শুনতে বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছি না। এই রুচি যে আমার না এটার পেছনে বাকিদের অবদানটাই বেশি এই কথা আমি আপনাদের সহজভাবে বুঝাতে পারব না। আবার রাজনীতির শিকার হয়ে যাব।”
শামীম হাসান সরকার মনে করেন, টাকা দিয়ে অভিনয়ের ক্ষুধা পূরণ করা যায় না। তার ভাষায়, “অভিনয়ের ক্ষুধা আপনি টাকা দিয়ে পূরণ করতে পারবেন না। অন্য কোনো দায়িত্ব দেন কষ্ট হউক করতে রাজি আছি। কিন্তু একই জিনিস থেকে আমাকেও মুক্তি দেন। আমিও বোরড (বিরক্ত)! অনেকদিন যাবত ভেবেছি, আজকে প্রকাশ করলাম। ছুটি নিব, ঘুরতে যাব। অনেক কাজ করেছি, সেগুলা ততদিনে ‘রিলিজ’ করেন।”
শামীম হাসানের অভিনয়কে যারা ‘হাউ কাউ’ বলেন, তাদের উদ্দেশ্যে এই অভিনেতা বলেন, “যারা টাকা দিয়ে নিয়ে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ করায়, তারা যখন অন্য কাউকে বলে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ ছাড়া অভিনয় হয় না। কিন্তু এই হাউ কাউ তো আপনাদের রুচি, আমার না। আমি তাদেরকে আমার অভিনয় একটাবার দেখাতে চাই। বয়সে বড় হয়েছি। অনেক বদলে গেছি। একবার সুযোগ দেন... এরপর নাহয় বিচার করলেন। আপনার মুখ থেকেই সুনামের জন্য যেভাবে অভিনয় করা লাগে করে দেখাব। চ্যালেঞ্জ! শেষ কথা—আমার আবারো বিরতি প্রয়োজন!”
শামীম হাসান সরকারের এই ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন নেটিজেনদের বড় একটি অংশ। মুন্সি প্রকৃতি লেখেন, “এই কথাটা ভালো লাগছে ভাই। দর্শকরা আর্টিস্টদেরকেই গালি দেয়। কিন্তু একই রকম গল্পতে অভিনয় করার পিছনে ক্যামেরার পিছনের লোকদের অবদান বেশি থাকে, এইটা কেউ বুঝতেই চায় না। আর শুধু এইটাই না একটা গল্প হিট গেলে ডাইরেক্টর রাইটারের সুনাম আর ফ্লপ হইলে আর্টিস্টের দুর্নাম।” মঞ্জিল হাসান লেখেন, “আপনাকে দিয়ে বাণিজ্যিকভাবেই ব্যতিক্রমধর্মী কাজ সম্ভব, সে প্রমাণ এর আগেও অনেক গল্পে পেয়েছি। ভালো সিদ্ধান্ত...শুভকামনা।”
শুধু নেটিজেনরাই নন, সহশিল্পীদের অনেকে শামীম হাসানের পোস্টে মন্তব্য করেছেন। শামীম হাসানকে সতর্ক করে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “তাহলে কাজ হারানোর জন্যও প্রস্তুত থাকো। যারা তোমার আশেপাশে ঘুরত, তারা ঘোরা বন্ধ করে দেবে। তারা বিকল্প কাউকে খুঁজে নেবে। কিন্তু তারপরও গল্প, চরিত্র বদলাবে না। বিকল্প খুঁজবে আর বলবে, ‘শামীমের দিন শেষ। বা** অভিনেতা। সেটে ঝামেলা করে।’ কেউই তোমার প্রতিনিধিত্ব করবে না। কেউ ঝুঁকি নেবে না। তোমার সিদ্ধান্ত যদি এটা হয়ে থাকে, তবে এটা ঘটতে যাচ্ছে। কথাগুলো মিলিয়ে নিও ব্রো শামীম হাসান সরকার।”
ইরফান সাজ্জাদের এ মন্তব্যের জবাবে শামীম হাসান সরকার লেখেন, “ভাই আমিও আপনার সাথে একমত। আপনি যা যা বলছেন আমিও জানি মেলানোর আগেই মিলে আছে!” পাল্টা মন্তব্যে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, এটাই সায়েন্স ব্রো… যার কারণে আমি নিজেই সরে গেছি।”
ঢাকা/শান্ত