সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ চেষ্টায় ফারুক হোসেন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে সনমান্দি ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

বুধবার (৭ মে) সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর গোসলখানায় প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। 

জানা যায়, উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের আব্দুস সালামের ছেলে ফারুক হোসেন(৩০) দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাওয়ার আসার পথে ভূক্তভোগী ওই কিশোরীকে কু প্রস্তাব দিয়ে প্রায় উক্ত্যক্ত করতো।

গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীর গোসল খানায় কৌশলে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী ডাক চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ফারুক হোসেন দৌড়ে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে পরদিন সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফারুক হোসেন পলাতক থাকে। গত মঙ্গলবার রাতে সনমান্দি ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

ভূক্তভোগী ওই কিশোরীর মা জানান, লম্পট ফারুক দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে স্কুলের যাওয়া আসার পথে রাস্তায় কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন তারা বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাড়ির গোসলখানায় ঢুকে জোরপূবর্ক স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। এক পর্যায়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। তার মেয়ের মানহানীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। 

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মফিজুর রহমান বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও য বক ন র য়ণগঞ জ গ র প ত র কর ওই ক শ র র স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ