তাসকিন আহমেদের সময়টা কঠিন যাচ্ছে। ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন এই পেসার। তবে এই লড়াই শেষ হচ্ছে শীঘ্রই। সুখবর দিলেন তাসকিন নিজেই। আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজেই দলে ফিরতে পারেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বোলিং লাইনের প্রথম সারির মুখ এই পেসার।

ইনজুরি থেকে ফেরার লড়াইয়ে তাসকিন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। প্রতিদিনই সময় দিচ্ছেন মিরপুরে। সার্জারির জন্য লন্ডন গেলেও সেটা করতে হয়নি তাকে। মেজর অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হয়ে ফেরার আনন্দটা তাসকিনকে উদ্যমী করে তুলেছে। আশাবাদী হয়ে উঠছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাসকিন। সেখানেই তাসকিন বলেন, ‘‘রিহ্যাবিলিটেশন চলতেছে। বোর্ড থেকে আমাদের জাতীয় দলের ট্রেনার, ফিজিও এবং ইংল্যান্ডে আমি যে বিশেষজ্ঞ দেখিয়েছি তারা সবাই মিলে যে প্রোগ্রাম সেট করেছে, এগুলো রিহ্যাবিলিটেশনেরই পার্ট। আজকে নিয়ে প্রায় ৫টা সেশন গেল এবং শর্ট রানে বোলিংও শুরু করেছি।’’

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান সফরের অনুমতি

পিএসএলে দল পেলেন সাকিব আল হাসানও

শ্রীলঙ্কা সিরিজেই ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে তাসকিন আরো বলেন, ‘‘কবে ফিরব নিশ্চিত করে বলাটা তো কঠিন। কিন্তু যেটা আমাদের লক্ষ্য ইনশাল্লাহ সামনের সিরিজ থেকে জুনের প্রথম দিকে আশা করা যাচ্ছে। যদি কোনো সমস্যা না থাকে। এভাবে চলতে থাকলে আমি খুশি আলহামদুলিল্লাহ। এখনো কোনো অভিযোগ নেই। যদি এভাবে সুন্দর স্মুথ যায় তাহলে তো ভালো, আশা করছি শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ফেরা সম্ভব।’’

ফেরা না ফেরা ম্যানেজমেন্টের হাতে। তা ছাড়া নির্দিষ্ট করে ফেরার দিনক্ষণও বলা যায় না। তাসকিন এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবছেন না। তার নজর সুস্থ হওয়ার দিকে, ‘‘কোনো ইনজু্রি হলে নির্দিষ্ট করে তারিখ বলা কঠিন। আল্লাহ না করুক কোনো সমস্যা হলে তখন হয়তো ম্যানেজমেন্ট থেকে একটা সিদ্ধান্ত নেবে কি করা যায়। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না, যেহেতু এখান থেকে ভালো সুখবর দিছিল যে সার্জারি ছাড়া রিহ্যাবিলিটেশনে সুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভব।’’

একই সঙ্গে তাসকিন জানালেন, পেসারদের সঙ্গীই ইনজুরি। বাস্তবতা মেনে নিয়েই পথ চলতে হবে, ‘‘পেসারদের ক্ষেত্রে যেখানে কোনো ব্যথা নেই, সেখানেও স্ক্যান করলে কিছু না কিছু আসবে। আসলে সারা শরীরেই স্ক্যান করলে ছেড়াফাঁড়া পাওয়া যাবে। দুই পায়েই একই সমস্যা আছে। কিন্তু বা পায়ে আসছে। কারণ, ল্যান্ডিং পা। ৬ সপ্তাহ পর বলা যাবে, অলরেডি আড়াই সপ্তাহ গেছে।’’

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের সময় সাংবাদিককে ছুরিকাঘাত

কুমিল্লা নগরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের সময় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ওই সাংবাদিককে কিল-ঘুষি মারার পাশাপাশি তার পায়ে ছুরিকাঘাত করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বাহার রায়হান সময় টিভিতে কর্মরত। তার ডান হাঁটুর ওপরের অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ছুরিকাঘাতের জায়গায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। ছুরিকাঘাতের কারণে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৭ বছর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো: রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির স্বাক্ষরিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের যথাক্রমে ৬ ও ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে কাজী জোবোয়ের আলম জিলানীকে সভাপতি ও এমদাদুল হক ধীমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল এবং নাহিদ রানাকে সভাপতি ও ফায়াজ রশিদ প্রিমুকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রদলের আংশিক ওই দুটি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। রাতে এ খবর জানাজানি হওয়ার পর  ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে নেমে পড়েন নগরীর সড়কে। তাদের মুখে মুখে প্রতিবাদী স্লোগান ছিল ‘অবৈধ কমিটি মানি না মানবো না।’ এরপর তারা নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগর বাসিন্দারা। ঘন্টাব্যাপী চলে এ সড়ক অবরোধ। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ‘সময় টেলিভিশনের’ কুমিল্লা প্রতিনিধি বাহার রায়হানের ওপর হামলা চালানো হয়। 

আহত সাংবাদিক বাহার রায়হান জানান, পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলের ছবি ফুটেজ সংগ্রহকালে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে তার হাঁটুর উপরের অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সরে যায়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু রাত সোয়া ১১টার দিকে সমকালকে বলেন, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের একটি সুন্দর কমিটি হয়েছে। কিন্তু পদবঞ্চিতরা কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং সাংবাদিক বাহারের ওপর হামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা দলীয়ভাবে চেষ্টা করছি হামলাকারীদের শনাক্ত করতে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও অনুরোধ করছি পরিচয় বের করতে। যদি হামলাকারীরা কেউ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, কারা হামলা করেছে- তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ