উপদেষ্টাকে বোতল ছুড়ে মারা ষড়যন্ত্রের অংশ: লক্ষ্মীপুরে এ্যানি
Published: 16th, May 2025 GMT
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘দেশের পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করা, স্বাভাবিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করে তোলা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য অদৃশ্য একটি শক্তি সক্রিয়। এবার সেই শক্তি কিছুটা দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। বোঝা যাচ্ছে, কারা এর পেছনে রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টার ওপর পানির বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাটিও এই ষড়যন্ত্রের অংশ।’
আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের তালহাটি এলাকায় বিএনপির এক প্রতিনিধি সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এ মন্তব্য করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সব দাবি এখনই মানতে পারবে না। যেখানে ১৭ বছর লুটপাট হয়েছে, অনিয়ম-অত্যাচার হয়েছে, সেখানে একটি নির্বাচিত সরকার এসেও সব সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। অনেকেই দাবি তুলবে। আলোচনা করতে হবে, সমাধানেরও চেষ্টা বের করতে হবে। কিন্তু সেখানে পুলিশ যেভাবে ছাত্রদের পিটিয়েছে, এটা কিন্তু ঠিক করেনি। এর ভেতরে আবার ষড়যন্ত্র ঢুকছে। ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে পরিবেশটাকে উত্তপ্ত করার জন্য, ভোটের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনা একটি চক্রান্তের অংশ বলে মন্তব্য করেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘সাম্যর হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। কেউ কেউ এ পরিবেশটাকে ঘোলাটে করতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাই এখন জনগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই বিএনপি লড়ছে। বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা পোস্টার-ফেস্টুন লাগিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন, যা মাঠে ভোটের পরিবেশ তৈরি করছে।’
প্রতিনিধি সভায় এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ষড়যন ত র ব এনপ র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।