ভেজা চোখে অ্যাস্টন ভিলাকে বিদায় বলে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার কাতার বিশ্বকাপ জয়ী ও কোপা আমেরিকা জয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। আগামী মৌসুমে নতুন কোন ক্লাবে দেখা যাবে তাকে। 

ওই ক্লাব হতে পারে বার্সেলোনা কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম মুন্ডো আলবিসেস্তে দাবি করেছে, বার্সা ও ম্যানইউ-এর পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন এমি মার্টিনেজ। 

সাবেক আর্সেনালের এই গোলরক্ষককে মোটা বেতনে চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি প্রো লিগের ক্লাবও। কিন্তু আপাতত তিনি সৌদি যেতে চান না। ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ে খেলে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে চান। 

এমনকি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এমি মার্টিনেজ বলেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য লড়াই করবে এমন কোন ক্লাবে যেতে চান তিনি। ওই হিসেবে বার্সার পক্ষ থেকে ঠিকঠাক প্রস্তাব পেলে কাতালান শিবিরে যেতে পারেন এই গোলবারের প্রহরী। 

বার্সায় গোলরক্ষক হিসেবে বর্তমানে ভয়চেক সেজনি ও মার্ক টের স্টেগান আছেন। এর মধ্যে সেজনির সঙ্গে চলতি মৌসুমেই চুক্তি শেষ বার্সার। তিনি গত মৌসুমে অবসর ভেঙে বার্সা ক্যাম্পে যোগ দিয়েছিলেন। আবার অবসরে ফিরে যাবেন নাকি বার্সার সঙ্গে আরও এক মৌসুমের চুক্তি নবায়ন করবেন তা নিশ্চিত নয়। 

ওদিকে মার্ক টের স্টেগান চলতি মৌসুমের অধিকাংশ সময় ইনজুরিতে কাটিয়েছেন। যে কারণে তার বিকল্প গোলরক্ষক খুঁজছে বার্সা। সেজনি চুক্তি নবায়নের সিদ্ধান্ত না দিলে এমি মার্টিনেজ হতে পারেন তাদের পরবর্তী গোলরক্ষক। একইভাবে ম্যানইউ তাদের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানায় আস্থা হারিয়েছেন। নতুন গোলরক্ষক খুঁজছে তারাও। প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতা থাকায় মার্টিনেজের বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে ক্লাবটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এম ল য় ন ম র ট ন জ ফ টবল দলবদল প রস ত ব

এছাড়াও পড়ুন:

কোহলির দশম শ্রেণির নম্বরপত্র: অঙ্কে খারাপ, ইংরেজিতে ভালো, ক্রিকেটে কিংবদন্তি

গত এক সপ্তাহে ভারতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনার একটি ছিল বিরাট কোহলির অবসর। ১২ মে টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।

এর পরদিন প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের দশম শ্রেণির সিবিএসই (সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এক্সামিনেশন) পরীক্ষার ফল। অংশগ্রহণকারী বিবেচনায় ভারতের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা এটি। যেটিকে শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপও বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুন৬ মাস পর ফিরে সাকিব যা বললেন১৪ ঘণ্টা আগে

কোহলির অবসর ও সিবিএসই দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল—আলোচনায় থাকা এ দুটি বিষয়কে এবার একসঙ্গে সামনে এনেছেন আইএএস কর্মকর্তা জিতিন যাদব। কোহলির সিবিএসই পরীক্ষার মার্কশিট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরে জিতিন লিখেছেন, পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরই সফলতা নয়, সাফল্য আসে উদ্দীপনা ও নিষ্ঠা থেকে।

কোহলি সবচেয়ে বেশি ৮৩ নম্বর পেয়েছেন ইংরেজিতে, আর সবচেয়ে কম ৫১ নম্বর গণিতে।

জিতিনের পোস্ট করা কোহলির মার্কশিটটি ২০২৩ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার কোহলি অবসর নেওয়ায় তাঁর ক্যারিয়ার নিয়ে চারপাশে যে বন্দনা চলছে, তাতে পরীক্ষার নম্বরপত্রকে আবারও প্রাসঙ্গিক মনে করছেন কেউ কেউ। নম্বরপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে, ২০০৪ সালে দিল্লির এ=২ পশ্চিম বিহারে অবস্থিত স্যাভিয়র কনভেন্ট সেকেন্ডারি স্কুল থেকে দশম শ্রেণির সিবিএসই পরীক্ষা দিয়েছিলেন কোহলি।

আরও পড়ুনতিন কারণে বিসিবিতে আবার দুদক১৩ ঘণ্টা আগে

কোহলি সবচেয়ে বেশি ৮৩ নম্বর পেয়েছেন ইংরেজিতে, আর সবচেয়ে কম ৫১ নম্বর গণিতে। এ ছাড়া সমাজবিজ্ঞানে ৮১, হিন্দিতে ৭৫, ইন্ট্রোডাক্টরি আইটিতে ৭৪ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৫৫ নম্বর পেয়েছেন। ইন্ট্রোডাক্টরি আইটির তত্ত্বীয় অংশে পেয়েছিলেন ১৬ নম্বর, তবে ব্যবহারিকে বেশি পাওয়ায় সব মিলিয়ে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯.৮৩ শতাংশ।

কোহলির নম্বরপত্রটি পোস্ট করে আইএএস কর্মকর্তা জিতিন লিখেছেন, ‘নম্বরই যদি সবকিছু হতো, তাহলে গোটা দেশ তাঁকে অনুসরণ করত না। (সাফল্য পাওয়ার জন্য) উদ্দীপনা আর নিষ্ঠাই আসল।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কোহলির দশম শ্রেণির নম্বরপত্র: অঙ্কে খারাপ, ইংরেজিতে ভালো, ক্রিকেটে কিংবদন্তি