১২ বলে ১৪ রানের সমীকরণ যখন ৬ বলে ১ রানে নেমে আসে তখন বুঝতে হবে দলটার আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। বুক ভরা সাহস নিয়েই প্রতিপক্ষকে নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছেন । 

বাংলাদেশকে হারিয়ে জয়ের সমীকরণ মেলাতে সংযুক্ত আমিরাতের ১ রান হলেই হতো। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বল, হাসান মাহমুদের লেন্থ বল ব‌্যাটসম‌্যান শারাফু এগিয়ে এসে দারুণ সুইং করলেন। বল চলে গেল সীমানায়। চার রান। 

জয় তো জয়-ই। কিন্তু প্রতিপক্ষকে বার্তা দিয়ে, তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জয়ের আলাদা গৌরব আছে। শারজাহতে বাংলাদেশকে হারিয়ে সেই গৌরবটাই জিতল সংযুক্ত আরব আমিরাত। শুধু শেষ টি-টোয়েন্টিটা-ই জিতলই না, আইসিসি পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল। সমীকরণ ২-১।

শারজাহতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৮৪ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১৬২ রান তুলতে পারে। ওই রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকরা ৫ বল আগে ৭ উইকেটের জয় পায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জয়ই যেখানে আমিরাতের বিরাট প্রাপ্তি, সেখানে সিরিজ জয় তাদের জন্য বিরাট পাওয়া। নিশ্চিতভাবেই তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা সাফল্য।  

ম্যাচ হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তাদেরকে জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস, ‘‘(সংযুক্ত আরব আমিরাত) তারা আজ ভালো খেলেছে। তারা প্রথম ইনিংসে ভালো করেছে। ভালো বোলিং করেছে, এবং সেই কারণেই আমরা এত বেশি স্কোর করতে পারিনি। কিন্তু ব্যাটিংয়ে, তারা একটু শিশিরের সুবিধা পেয়েছে। তবে তাদেরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা আতঙ্কিত হয়নি এটাই তাদের কৃতিত্ব।’’

এই পরাজয়কে লিটন মেনেই নিয়েছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই এখানে এসে আপ টু মার্ক পারফরম্যান্স না করে কেবল জয়ের ভাবনায় মগ্ন থাকা…এটা (পরাজয়) জীবনেরই অংশ। ক্রিকেটে মাঝে মাঝে প্রতিপক্ষ অনেক ভালো খেলে। তাদেরওকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’’ 

নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে লিটনের ব্যাখ্যা, ‘‘ব্যাটিংয়ে আমরা কয়েকটি ভুল করেছি। আজ, আমার মনে হয় এই মাঠে এবং এই পরিবেশে যেভাবে আপ টু মার্ক পারফরম্যান্স করার কথা সেটা করতে পারিনি। তিন ম্যাচেই আমরা পরে বোলিং করেছি। যেখানে শিশির বড় প্রভাব বিস্তার করেছে।’’

আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত পাকাপাকি দায়িত্ব পেয়েছেন লিটন। শুরুর অ্যাসাইনমেন্টেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হলো তাকে। সামনে কী করতে হবে সেই কথাও বলেছেন পরাজয়ের মঞ্চে, ‘‘পারভেজ ও তানজিদ ভালো করেছে। তাওহীদ ও জাকের আলী ইনিংসের মাঝে ভালো করেছে। এছাড়া কয়েকজন ভালো বোলিংও করেছি। তবুও, আমাদের শিখতে হবে, আরও শিখতে হবে এবং ম্যাচে কার্যকর করতে হবে।’’

তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান যাবে। পাকিস্তানের লাহোরে তিন ম্যাচ হবে ২৮ ও ৩০ মে এবং পহেলা জুন।

 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ত

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, লিটন-তাসকিন নেই 

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় কলম্বোতে ম্যাচটি শুরু হবে।

টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের একাদশে দুটি পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাসকিন আহমেদ ও লিটন দাস নেই। দলে ফিরেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী এবং হাসান মাহমুদ। 

বাংলাদেশ একাদশ 
তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, তানজিম হাসান সাকিব, তানভির ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

দুটি পরিবর্তন শ্রীলঙ্কা একাদশে। দুনিথ ওয়েলাগে ও দুশমন্থ চামিরা ফিরেছেন।

শ্রীলঙ্কা একাদশ
নিশান মাদুস্কা, পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিত আসালঙ্কা (অধিনায়ক), জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহীশ তিকশানা, দুশমন্ত চামিরা ও আসিতা ফার্নান্ডো।

সিরিজ বাঁচাতে পারবে বাংলাদেশ?
নাটকীয় ব্যাটিং ধসে প্রথম ওয়ানডেতে বিব্রতকর পরাজয় মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপূণ্যে বাংলাদেশ লক্ষ্য নাগালে রেখেছিল। এরপর লক্ষ্য তাড়ায় ভালো জবাবও দিয়েছিল। কিন্তু, মাত্র ৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে তালগোল পাকানো পারফরম্যান্সে ম্যাচটি স্রেফ শ্রীলঙ্কাকে উপহার দিয়ে আসে বাংলাদেশ। আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। হারলেই সিরিজ খোয়া যাবে। জিতলে টিকে থাকবে। মিরাজ অ্যান্ড কোং ঘুরে দাঁড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। 

দশ বছরে সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশের
ফল হওয়া শেষ সাত ওয়ানডেতে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। শেষ দশ বছরেও ওয়ানডেতে এমন অবস্থা কাটেনি বাংলাদেশের। ফল হওয়া ম্যাচগুলো পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে একই বছরের ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১২ ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। যার নয়টিই ঘরের মাঠে। তিনটি দেশের বাইরে। এরপর ওয়ানডে ক্রিকেটে এমন পরাজয়ের মিছিল আর ছিল না বাংলাদেশের। এতটা খারাপ অবস্থাও কখনো আসেনি।

গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শারজাহতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডেতে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পায়। তৃতীয় ওয়ানডেতে আবার হার। এরপর পরাজয়ের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে হার। শেষ ম্যাচ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। দলের যেই পারফরম্যান্স ছিল তাতে বাজি ধরার লোক থাকার কথা না। বৃষ্টি ‘বাঁচিয়ে’ দেয় বাংলাদেশকে। এরপর গতকাল কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চরম নাটকীয় পরাজয়। ৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিব্রতকর হারকে সঙ্গী করে বাংলাদেশ।

ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আবেদনময়ী সাবরিনা এবার পরিবারবান্ধব
  • মেসি ম্যাজিকে জয়ে ফিরল ইন্টার মায়ামি
  • ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, লিটন-তাসকিন নেই 
  • কলম্বোয় আজ সিরিজে ফেরার লড়াই
  • ‘দ্য কেইজ’ জয় করে উঠে এলো 'রকসল্ট'
  • কে হবে চ্যাম্পিয়ন? চলছে ‘দ্য কেইজ’-এর ফাইনাল