‘আমাদের আরও শিখতে হবে’, সিরিজ হেরে বললেন লিটন
Published: 22nd, May 2025 GMT
আরব আমিরাতের বিপক্ষেও হারবে বাংলাদেশ, এমনটা হয়তো কল্পনাও করতে পারেনি দেশের সমর্থকেরা। অথচ বাস্তবতা হলো, শারজাহতে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার রাতে সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে আরব আমিরাত।
এই হতাশাজনক ফলাফলের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, এমন পরাজয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং উন্নতির জন্য আরও শিখতে হবে।
যদিও এটি ছিল ২ ম্যাচের প্রস্তুতি সিরিজ। তবে পাকিস্তান সফর পিছিয়ে যাওয়ায় বাড়তি একটি ম্যাচ যুক্ত করে সিরিজটিকে তিন ম্যাচে উন্নীত করে বিসিবি। প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে টানা হেরে সিরিজ খুইয়েছে লিটনের দল। শেষ ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৬১ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। জবাবে দারুণ ব্যাটিং করে ৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিক আমিরাত।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘অবশ্যই এমন ফল প্রত্যাশিত ছিল না। আমরা এখানে এসেছিলাম জেতার জন্য। তবে এটা ক্রিকেট, এখানে হার-জিত জীবনের অংশ। প্রতিপক্ষ ভালো খেললে তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়।’
তবে সামনে ভালো করতে হলে কী করতে হবে, সেটাও বললেন লিটন, ‘ইমন, তামিম, জাকের ব্যাট হাতে ভালো করেছে। ২-১ জন বোলারও ভালো পারফর্ম করেছে। কিন্তু আমরা এখনও শিখছি। ভালো করতে হলে আরও শিখতে হবে এবং মাঠে সেটা কাজে লাগাতে হবে।’
এছাড়া মাঠের শিশির নিয়েও আবারও অভিযোগ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিন ম্যাচেই টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয়েছে টাইগারদের, যা ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন তিনি। ‘আমরা ব্যাটিংয়ে কিছু ভুল করেছি। এই কন্ডিশন ও উইকেট অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি। শিশির পুরো সিরিজেই একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল’, বলেন লিটন।
তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান যাবে। পাকিস্তানের লাহোরে তিন ম্যাচ হবে ২৮ ও ৩০ মে এবং পহেলা জুন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা লগি-বৈঠার হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করিয়ে দেয়: জনতা পার্টি
পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ। দলটি বলেছে, এ ঘটনা ২০০৬ সালে লগি-বৈঠা দিয়ে আওয়ামী হত্যাকাণ্ডকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
আজ শনিবার জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলন এবং মহাসচিব শওকত মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গত বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) নামের এক ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ীকে হত্যা করে একদল ব্যক্তি। এ ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে চারজনকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে।
জনতা পার্টি বলেছে, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক যে দ্বন্দ্বেই হোক না কেন, বিএনপির অঙ্গসংগঠনসমূহের একশ্রেণির দুর্বৃত্ত নেতা ব্যবসায়ী সোহাগকে মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে পৈশাচিক কায়দায় বিবস্ত্র করে পাথর মেরে মেরে হত্যা করেছেন। খুনিরা এ মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সময় পাশবিক উল্লাসে মেতে ওঠেন। এ ঘটনায় গোটা দেশবাসী স্তব্ধ ও মূক হয়ে গেছেন। এ ঘটনা ২০০৬ সালে লগি–বৈঠা দিয়ে আওয়ামী হত্যাকাণ্ডকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের ক্ষমতাচ্যুতি সত্ত্বেও একশ্রেণির রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মনমানসিকতায় ফ্যাসিবাদ এখনো গেড়ে বসে আছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, সম্প্রতি খুলনায় যুবদল নেতা হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদপুরে ইমামের ওপর আক্রমণ তারই প্রমাণ।
জনতা পার্টি বলেছে, সংস্কার, বিচার, নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মধ্যে এ ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রমাণ করে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি রোধ করাই এখন সময়ের দাবি। অথচ এ বিষয়ে সরকার ক্রমাগতই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে।