বরগুনার তালতলী উপজেলায় হারিয়ে যাওয়া একটি বিড়াল খুঁজে পেতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন মোসা. মারিয়া নামের এক কলেজছাত্রী। প্রিয় পোষা বিড়ালকে খুঁজে পেতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়েছেন তিনি। কেউ ওই বিড়ালকে খুঁজে দিলে ১ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন মারিয়া।

প্রায় তিন মাস ধরে বিড়ালটি লালন-পালন করেছেন মোসা.

মারিয়া। তিনি তালতলী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি বড়বগী সদর ইউনিয়নের উপজেলা সড়কের পাশে।

মারিয়া বিড়ালের ছবি দিয়ে পোস্টারে লিখেছেন, “আমাদের সাদা-ক্রিম রঙের লম্বা লোমওয়ালা বড় চোখের প্রিয় বিড়ালটি গত ১৯ মে ২০২৫ তারিখ থেকে নিখোঁজ। সম্ভবত হারিয়ে গেছে বা কেউ ভুল করে নিয়ে গেছে। বিড়ালটি কেউ খুঁজে দিলে তাকে ১০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।” পোস্টারে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে মোসা. মারিয়া বলেছেন, “আমি শখ করে মার্চ মাসে বরিশাল থেকে বিড়ালটি ৫ হাজার টাকায় কিনেছি। তখন ওর বয়স ছিল ১ মাস ১৭ দিন। এরপর থেকে তাকে পোষা শুরু করি। ধীরে ধীরে সে আমার খুব আপন হয়ে ওঠে। আদর করে নাম রেখেছি ‘সিম্বা’। ওরে ‘সিম্বা’ বলে ডাক দিলেই সাড়া দিত। গত ১৮ মে আমাদের বাসায় মেহমান আসে। তার পরের দিন সন্ধ্যায় প্রিয় বিড়ালটি নিখোঁজ হয়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “জানি না, বিড়ালটা কোথায় আছে, কী হালে আছে? কী খাচ্ছে, এই চিন্তায় আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমার ‘সিম্বা’ হয়ত আমাকে পাগলের মতো খুঁজে বেড়াচ্ছে।” 

পোস্টার সাঁটানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিম্বা’কে হারানোর কষ্ট থেকেই পোস্টার ছাপিয়েছি। কত স্মৃতি বিড়ালটির সঙ্গে। নইলে কি আর কেউ এরকম করে পোস্টার ছাপায়?

ঢাকা/ইমরান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ