ঈদের আগে বেতন-বোনাস না হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি
Published: 23rd, May 2025 GMT
ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র্যালি এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুমকি দেওয়া হয়।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক মো.
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়াকান্না শুরু করেন। সরকার থেকে নানারকম সুবিধা নেন তারা—ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণ, রপ্তানিতে প্রণোদনা। কিন্তু, শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করেন। অনেক কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পাঁয়তারা করে। পোশাক কারখানার মালিকদের এমন কর্মকাণ্ডে এই সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
তারা বলেন, কারখানার মালিকরা ঈদ আসলেই অর্থনৈতিক সংকটের গল্প শোনাতে শুরু করেন। রপ্তানি কম, ব্যাংক ঋণ পায়নি, প্রোডাকশন কম এসব বলতে থাকেন। অথচ, বাস্তবতা হলো—এই মালিকরা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দিয়ে বছরের পর বছর মুনাফা করে নতুন নতুন কারখানা করে গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির মালিক হচ্ছেন, বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরেও সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন ৪২ লাখ শ্রমিক। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। এই সেক্টর থেকে দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু, গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৫ বছর আগে যে জীবনযাপন করত, এখনো তেমনই জীবনযাপন করছে। গত ১০ মাসে শ্রমিকদের জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আমিরুল হক আমিন বলেন, ৩০ মে র মধ্যে ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা দেখতে চাই। বেতন-বোনাস না হলে শ্রম উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঈদ করতে পারবেন কি না, সেটা আমরা জানি না।
ঢাকা/এম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমস্যা কী, সমাধান কোথায়: শুনুন তামিমের মুখে
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? কোন বিষয়টি সবার আগে সমাধান করা উচিত?
দুটি প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই অনেক কথাই বলবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কারও বিষয়টি ভালো জানার কথা। যেমন তামিম ইকবাল। প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র তামিমের সামনে দুটি প্রশ্ন রেখেছিলেন। তামিমের উত্তর, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের ফ্যাসিলিটিজ (অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধা) নাই।’
প্রথম আলোর কার্যালয়ে উৎপল শুভ্রকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে আড্ডার মেজাজে তামিম বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। নিজের ক্যারিয়ার, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য—এসব নিয়েও বেশ খোলামেলা কথা বলেন সাবেক এই ওপেনার।
আলাপচারিতার একপর্যায়েই বাংলাদেশ ক্রিকেটে এ মুহূর্তের সমস্যার প্রসঙ্গ উঠেছিল। অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ–সুবিধার অভাবকে সামনে টেনে এনে তামিম বলেছেন, ‘একটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার হয় কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার একটি (ক্রিকেট), যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, তার আশপাশেও নেই। পৃথিবীর তৃতীয়, চতুর্থ ধনী বোর্ডের যে ফ্যাসিলিটিজ থাকা উচিত, আমরা এর আশপাশেও নেই।’
তামিম বিষয়টি ভালোভাবে ব্যাখ্যা করলেন, ‘ক্রিকেট দলের প্রতি ভক্তদের যে প্রত্যাশা, সেটা পূরণের জন্য যে ফ্যাসিলিটিজ দরকার, আমরা তার আশপাশেও নেই। আপনি মাঝারি মানের ক্রিকেটার হতে পারেন কিংবা মাঝারি মানের ব্যাটসম্যান হতে পারেন, সঠিক অনুশীলনের মাধ্যমে কিন্তু আপনি মাঝারি মান থেকে দুই ধাপ ওপরে উঠতে পারবেন।’
মুশফিকুর রহিম