ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দেওয়া হলে শ্রম মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র‍্যালি এবং সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ হুমকি দেওয়া হয়।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিনের সভাপতিত্ব এবং সাধারণ সম্পাদক মো.

রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা মো. কবির হোসেন, জেসমিন আক্তার, সীমা আক্তার, আলেয়া বেগম, মো. রিয়াদ হোসেন, মো. লোকমান আলী, মনিরা মুন্নি প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই ঈদ আসলে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার সময় মালিকরা মায়াকান্না শুরু করেন। সরকার থেকে নানারকম সুবিধা নেন তারা—ভ্যাট ছাড়, ব্যাংক ঋণ, রপ্তানিতে প্রণোদনা। কিন্তু, শ্রমিকদের বেতনের অর্ধেক বা নামমাত্র ঈদ বোনাস দেওয়ার ফন্দি করেন। অনেক কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধ না করার পাঁয়তারা করে। পোশাক কারখানার মালিকদের এমন কর্মকাণ্ডে এই সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

তারা বলেন, কারখানার মালিকরা ঈদ আসলেই অর্থনৈতিক সংকটের গল্প শোনাতে শুরু করেন। রপ্তানি কম, ব্যাংক ঋণ পায়নি, প্রোডাকশন কম এসব বলতে থাকেন। অথচ, বাস্তবতা হলো—এই মালিকরা শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা না দিয়ে বছরের পর বছর মুনাফা করে নতুন নতুন কারখানা করে গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির মালিক হচ্ছেন, বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হচ্ছেন, কেউ কেউ দেশের বাইরেও সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন।

তারা আরো বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন ৪২ লাখ শ্রমিক। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী। এই সেক্টর থেকে দেশের ৮৪ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। তাই, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এক মাসের বেতনের সমান ঈদ বোনাস এবং বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু, গার্মেন্টস শ্রমিকরা ১৫ বছর আগে যে জীবনযাপন করত, এখনো তেমনই জীবনযাপন করছে। গত ১০ মাসে শ্রমিকদের জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

আমিরুল হক আমিন বলেন, ৩০ মে র মধ্যে ঈদ বোনাস ও বেতন-ভাতা দেখতে চাই। বেতন-বোনাস না হলে শ্রম উপদেষ্টা বা দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা ঈদ করতে পারবেন কি না, সেটা আমরা জানি না।

ঢাকা/এম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কৌতূহলে গলায় ফাঁস, প্রাণ গেল কিশোরের

রাজশাহীর বাগমারায় কৌতূহলের বশে গলায় ফাঁস দিয়ে আসলাম নামে ১২ বছরের এক কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়নের ভাগনদী গ্রামে। সে ভাগনদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল। আসলামের বাবা একই গ্রামের আকবর হোসেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ঘরের দরজা-জানালা লাগিয়ে দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় আসলাম। এরপর সে চিৎকার করতে থাকে। বাড়িতে কেউ না থাকায় আশপাশের লোকজনের আসতে দেরি হয়। দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে আসলামকে নিচে নামিয়ে তারা নিশ্চিত হয়, সে মারা গেছে।

কিশোর আসলামের মামা শামসুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েকদিন আগে পাশের গ্রামের একটি মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর থেকে ফাঁস দেওয়ার বিষয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠে আসলাম। পরিবারের অন্য সদস্যদের বিভিন্ন সময় জিজ্ঞাসা করে, গলায় ফাঁস দিলে আসলেই মানুষ মারা যায় কিনা কিংবা ব্যথা পায় কিনা? সে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার সকালে আসলাম তাঁর মামার সঙ্গে পুকুরে মাছ ধরে। ঘণ্টাখানেক পরে এ দুর্ঘটনা ঘটায় সে।

স্থানীয় যোগীপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল করিম বলেন, কৌতূহলের বশে আসলাম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ