৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এনবিআর অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী: অর্থ মন্ত্র
Published: 25th, May 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ গঠনে জারি করা অধ্যাদেশে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনী আনা হবে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২৫ মে) মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রয়োজনীয় সংশোধনের পূর্ব পর্যন্ত জারিকৃত অধ্যাদেশটি কার্যকর করা হবে না।
আরো পড়ুন:
এনবিআরের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি ঘোষণা
চলছে কর্মবিরতি, অচল এনবিআর
এই ঘোষণার মাধ্যমে কর এবং কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব উদ্বেগের অবসান ঘটবে এবং দেশের রাজস্ব আহরণ ও রাজস্ব সেবা প্রদানকারী সকল দপ্তর অবিলম্বে পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে বলা হয়, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে গত ২২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত প্রেসনোটে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের বিভিন্ন দাবির বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সরকার আশা করেছিল যে অধ্যাদেশের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর এবং কাস্টমস ও ভ্যাট সার্ভিসের সব উদ্বেগের অবসান ঘটবে। কিন্তু এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সাম্প্রতিক প্রেস রিলিজ থেকে এ বিষয়ে কিছু অস্পষ্টতা রয়ে গেছে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। এমতাবস্থায়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিম্নরূপ অধিকতর স্পষ্টিকরণে বেশকিছু সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারের একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করা হবে। বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শক্তিশালীকরণ এবং একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে রাজস্ব নীতি পৃথকীকরণের কাঠামো কিরূপে প্রণীত হবে তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, অধ্যাদেশ বাতিলসহ ৩ দফা দাবিতে গত ১৪ মে থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।’ পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিও যুক্ত করে তারা।
এদিকে দাবি আদায়ে সোমবার থেকে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ ঘোষণা আসায় করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করছে বলে এনবিআরের একজন কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে সেটি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ঢাকা/হাসান/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডিপোতে পোঁতা ছিল বাস মালিকের লাশ
পরিবহন ব্যবসায়ী আনারুল হোসেন শিকদারকে হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয় তুরাগের বাস ডিপোতে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাষ্য, বাসের চালক ও নিরাপত্তাকর্মীর হাতে ব্যবসায়ী আনারুল নির্মমভাবে খুন হয়েছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি নিখোঁজের পরদিন ঢাকার তুরাগ থানায় জিডি করেন পরিবারের সদস্যরা। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ। দীর্ঘ চার মাস তদন্তের পর সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে তুরাগ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা শিকার করে তারা। পরে তাদের দেখানো স্থান থেকে গতকাল রোববার আনারুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার তিনজন হলো– সবুজ, শাকিল ও কালাম। তিনজনই রাইদা পরিবহনের বাসচালক। শনিবার রাতে সবুজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে শাকিল ও কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বিডিজবসের কর্মকর্তা দেলোয়ার শিকদার তুরাগ থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মালিককে হত্যা করার পরও আসামিরা স্বাভাবিকভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছিল। পালিয়ে না যাওয়ায় তাদের সন্দেহের তালিকায় আনা হয়নি। তবে গত কয়েক দিন সবুজের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হয় তদন্ত-সংশ্লিষ্টদের। এক পর্যায়ে সবুজসহ তিনজনই পালিয়ে যায়। শনিবার তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যারহস্যের জট খোলে।
নিহতের ভাতিজা তানভির শিকদার সমকালকে জানান, নিখোঁজের পর থেকে আমাদের সন্দেহ হয় ডিপো নিয়ে। একাধিকবার নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু সে জানায়, ঘটনার দিন সকালে তার কাছ থেকে কিস্তির ৩১ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান চাচা।
তানভির শিকদার বলেন, ঘটনার ক’দিন আগে চাচা আমাকে জানান, সবুজের কাছে আট লাখ টাকা ও ডিপোর নিরাপত্তাকর্মী আসাদুল্লাহর কাছে বাস বিক্রির ১৮ লাখ টাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো কিস্তি দিতে পারছে না। এ নিয়েই আসাদুল্লাহ ও সবুজ চাচাকে হত্যা করেছে।
আনারুল শিকদারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদরে। স্ত্রী ও তিন ছেলেকে নিয়ে তিনি ঢাকার উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ২৬ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। কয়েকটি গাড়ি কিনে রাইদা কোম্পানিকে ভাড়া দিয়েছিলেন।
তুরাগ থানার এসআই মামুনুর রশিদ জানান, রোববার বিকেলে ব্যবসায়ী আনারুলের লাশ মর্গে পাঠানো হয়। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।