জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য হাজারের ওপর মায়ের বুক খালি করেছে। ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। এই খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকার যেন অন্য কারো হাতে দায়িত্ব ছাড়ার চিন্তা না করে। আমরা বাংলাদেশে ওই খুনিদের বিচার দেখতে চাই। 

সোমবার দুপুরে এনসিপির পক্ষ থেকে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলায় পথসভা এবং লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে ডোমারে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস বলেন, আগামী নির্বাচনে অন্ধ ভক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। জাতীয় নাগরিক পার্টির কাউকে ভালো লাগলে ভোট দেবেন, না হলে দেবেন না। কারণ আগের নির্বাচনগুলোতে নেতারা জনগণের পকেটে টাকা দিয়ে ক্ষমতায় এসে বয়স্ক ভাতাসহ সবকিছু মেরে দিয়েছে। সামনের দিনে টাকা ছাড়া কাজ হবে না, এই চর্চা আর থাকবে না।

নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, নির্বাচন দ্রুত দিতে হবে এটা কোনো কথা হতে পারে না। বরং স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার জন্য সামগ্রিক প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে বিচার ও সংস্কার পাশাপাশি চালিয়ে যখন নির্বাচন দেওয়ার উপযুক্ত সময় হবে, তখন যেন এটি হয়। 

এসময় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, ড.

আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান, সাদিয়া ফারজানা দিনা, আসাদুল্লাহ আল গালিব ও আবু সাঈদ লিওনসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছে, তাদেরকে কেনার সাধ্য কোনো দলের নেই:

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আমরা দেশের সংস্কার চেয়েছি, বিচার চেয়েছি, নতুন সংবিধান চেয়েছি। কিন্তু, এসব জনদাবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ। তারা পুরাতন বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়। তারা পুরাতন রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে চায়। তারা চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসকে টিকিয়ে রাখতে চায়। এত মানুষের জীবন যাওয়ার পরে তারা যদি মনে করে, তারা পুরাতন রাজনীতি করবে, তাহলে এত সহজ হবে না। গণঅভ্যুত্থানের শক্তি এখনো মাঠে আছে।”

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের আসিফ চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “তারা ভেবেছিল— দুই-তিনটি আসন দেখিয়ে, ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু, যারা বিপ্লবের শক্তি, যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে, তাদেরকে কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের হয়নি।” 

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “৫ আগস্ট আমরা বলেছিলাম, আসুন জাতীয় সরকার গঠন করি। দেশটাকে পুনর্গঠন করি। সকল বিভাজন দূর করে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলি। তারা আমাদের সেই প্রস্তাবে সায় দেয়নি। তারা বলেছিল, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আবার বলেছে, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারা ছাড়া দেশ সংস্কারের কোনো বিষয়ে তাদের সমর্থন পাওয়া যায়নি। আমরা বলেছিলাম, আমরা দেশের ভিতরে শত্রু তৈরি করতে চাই না। আমরা দেশ পুনর্গঠন করতে চাই।” 

এনসিপির সাতক্ষীরা জেলার সমম্বয়ক কামরুজ্জামান বুলুর সভাপতিত্বে পথসভায় আরো বক্তব্য রাখেন—সংগঠনটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল প্রমুখ। 

পথসভার আগে শহীদ আসিফ চত্বর এলাকায় গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এনসিপির নেতারা। পরে একটি পদযাত্রা শহীদ আসিফ চত্বর থেকে বের হয়ে নিউ মার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। 

এর পর নিউমার্কেট এলাকায় আল বারাকা হোটেলের দ্বিতীয় তলায় এনসিপির জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

ঢাকা/শাহীন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসাদের কেনার ক্ষমতা কোনো দলের হয়নি: নাহিদ ইসলাম
  • যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছে তাদের কেনার ক্ষমতা কোনো দলের হয়নি: নাহিদ ইসলাম
  • ২৪-এর আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি: সারজিস
  • চব্বিশের আকাঙ্ক্ষা এখনো পূরণ হয়নি: সারজিস আলম
  • পালিয়ে থাকা নেতারা রামপালে ঘের দখলের রাজনীতি করছে: আখতার হোসেন
  • সব জনদাবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ, তারা পুরোনো বন্দোবস্তকে টিকিয়ে রাখতে চায়: নাহিদ ইসলাম
  • যারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছে, তাদেরকে কেনার সাধ্য কোনো দলের নেই:
  • ক্ষমতার ভাগবাটোয়ায় ছাড়া তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি, বিএনপির উদ্দেশ্যে
  • ‘আমাদের কোটি মানুষ দেখাবেন না, ওসব আমরা দেখেছি’
  • আগামীর আন্দোলন দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে: নাহিদ