পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, অর্থনৈতিক করিডোরে শুধু বাংলাদেশ নয়, এ অঞ্চলের সব দেশই উপকৃত হবে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো যদি তাদের কৃষি, বনজ, খনিজ সম্পদ বাংলাদেশে এনে প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করে তাহলে উভয় দেশ লাভবান হবে। তবে এ জন্য ভালো ভূ-রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির বিকল্প নেই। 

সোমবার রাজধানীর বনানীতে শেরাটন ঢাকা হোটেলে ‘বাংলাদেশে অর্থনৈতিক করিডোর ও লজিস্টিকস উন্নয়ন: বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় সেমিনারটি আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স– বাংলাদেশ (আইসিসিবি)।

অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ করিডোরের আলোচনার আগে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক করার পক্ষেও মত দেন। তবে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হওয়ায় নতুন কোনো প্রকল্প হাতে নেওয়া যাবে না। আগের সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোতেই বরাদ্দ দেওয়া হবে। দেশে বর্তমানে ১২শ' উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ওই প্রকল্পগুলো চালু রাখতে উন্নয়ন বরাদ্দে প্রায় সব অর্থ শেষ। 

তিনি বলেন, অনেকে বলছেন-কোনো শিক্ষা বা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছি না, অবকাঠামো খাতের প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন প্রকল্প নিচ্ছি না। আদতে সরকার পুরনো প্রকল্পগুলোর ত্রুটি-বিচ্যুতি বের করে সংশোধন করছে, খরচ কমাচ্ছে। এই প্রকল্পগুলো শেষ করতে হবে। কোনো সড়ক বা সেতুর প্রকল্প মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে নতুন প্রকল্প শুরু করতে পারি না।

বিগত সরকার জনতুষ্টিমূলক মেগা প্রকল্প নেওয়ার সমালোচনা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড.

আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের এখন টানেল আছে, কিন্তু সেখানে এখনও কোনো অর্থনীতি গড়ে ওঠেনি। কিন্তু সরবরাহের সম্ভাবনা এত বিশাল, আমরা চাই সে সক্ষমতাকে অর্থনীতির জোগানে কাজে লাগাতে। 

তিনি বলেন, আমাদের মানবসম্পদ আছে, আর্থিক সম্পদ আছে, ঋণদাতা, অংশীদার এবং অবকাঠামো। এই মুহূর্তে আমাদের অবস্থা ষাটের দশকের কোরিয়া থেকে অনেক ভালো। আমাদের টাকা আছে, আছে আলাদা আলাদা টেবিল, যেখানে আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখন আমাদের দরকার এমন একটি দল, যারা এই টেবিলগুলোকে একত্রে কাজ করাতে পারবে। বিগত সময়ে আমাদের সামাজিক পুঁজি নষ্ট করা হয়েছে। এটাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। 

আলোচনায় অংশ নিয়ে এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুব উর রহমান বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো হলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। রপ্তানি বাড়াতে এর বিকল্প নেই।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় একের পর মেগা প্রকল্প হয়েছে। ঋণের টাকায় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঋণ ও সুদ পরিশোধের বোঝা বেড়েছে। এটা নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

যোগাযোগ অবকাঠামো প্রকল্পে বেশি ব্যয়ের জন্য দেশের ভূ-কাঠামো প্রধান কারণ বলে দাবি করেন এ খাতের অন্যতম ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মীর আখতার হোসেন লিমিটেডের এমডি মীর নাসির হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ। এর ভূমি উন্নয়ন খরচ বেশি, যা ভারত-পাকিস্তানে হয় না। পরিবহন সাশ্রয়ী না হলে ব্যবসার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।

নেপালের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফএনসিসিআইয়ের মহাসচিব গোকর্ণ রাজ আওয়াস্থি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল এলডিসি উত্তরণ করতে যাচ্ছে। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার। নেপাল ভূ-বেষ্টিত হওয়ায় যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের সহযোগিতা দরকার। 

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, অর্থনৈতিক করিডোর অবশ্যই লাগবে। তবে আগে দরকার ব্যবসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। দেশীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে ব্যবসা করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত বিদেশি বিনিয়োগ মিলবে না।

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিওং বলেন, বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতে অবকাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। যেমন- সড়কপথের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, যানজট, খরচ বেশি হওয়া, মাল্টিমোডাল পরিবহনের ঘাটতি। এগুলো রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য বড় বাধা। তাই করিডোর উন্নয়নের পাশাপাশি লজিস্টিকস খাতের আধুনিকায়নও জরুরি।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডিবির সিনিয়র ইকোনমিকস অফিসার বরুণ কুমার দে। তিনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন। এডিবির পরিবহন বিশেষজ্ঞ নজরুল ইসলাম এবং সাবেক পরিচালক সব্যসাচী মিত্র অর্থনৈতিক করিডোর, লজিস্টিক হাব এবং বেসরকারি বিনিয়োগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ড র প রকল প অবক ঠ ম পর বহন আম দ র কল প ন ব যবস সরক র দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম সভ্যতায় দরিদ্রদের চিকিৎসাসেবা

মুসলিম সভ্যতার ইতিহাসে প্রায়ই বিজ্ঞান, স্থাপত্য বা শাসনব্যবস্থার কথা আলোচিত হয়। কিন্তু এর মানবিক দিক অধরা রয়ে যায়। বিশেষ করে দরিদ্রদের প্রতি দয়া ও চিকিৎসাসেবার গল্প আড়ালে রয়ে গেছে সব সময়।

মুসলিম সভ্যতায় কীভাবে দরিদ্র ও অসুস্থদের জন্য বিনা মূল্যে চিকিৎসা, আশ্রয় এবং মানসিক সান্ত্বনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা এক অপূর্ব কাহিনি।

বিমারিস্তান: দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসার আশ্রয়

মুসলিম সভ্যতায় দরিদ্রদের চিকিৎসাসেবায় ‘বিমারিস্তান’ নামের হাসপাতাল ছিল একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। এগুলো শুধু চিকিৎসার জায়গা ছিল না, বরং দরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে আশ্রয়, খাদ্য ও যত্নের ব্যবস্থা ছিল। বেশির ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত নগরে, বিশেষ করে বড় রাজধানীগুলোতে বিমারিস্তান ছিল। দামেস্কে বিমারিস্তানের নাম ছিল ‘নুরি’, বাগদাদে ‘আদুদি’।

প্রতিটি অন্ধ বৃদ্ধের জন্য এমন একজন সাহায্যকারী নিয়োগ কর, যে তাকে অত্যাচার বা অবহেলা না করে।খলিফা উমর ইবন আবদুল আজিজ (রহ.)

প্রথম বিমারিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় উমাইয়া খলিফা ওয়ালিদ ইবন আবদুল মালিকের সময়, ৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে। তিনি এতে চিকিৎসক নিয়োগ করেন এবং তাঁদের বেতনের ব্যবস্থা করেন। সমাজের স্বাস্থ্য রক্ষায় কুষ্ঠরোগীদের জন্য পৃথক স্থানে বিনা মূল্যে খাদ্য ও যত্ন দেওয়া হতো।

অন্ধদের জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা ও সাহায্যকারী নিয়োগ করা হতো। খলিফা উমর ইবন আবদুল আজিজ নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘প্রতিটি অন্ধ বৃদ্ধের জন্য এমন একজন সাহায্যকারী নিয়োগ কর, যে তাকে অত্যাচার বা অবহেলা না করে।’ (ইবনে আসাকির, তারিখে দিমাশক, ৪৪/১২৩, দারুল ফিকর, বৈরুত, ১৯৯৫)

আরও পড়ুন“আল্লাহ ধনী, তোমরা দরিদ্র”০১ অক্টোবর ২০২৫

ভ্রাম্যমাণ হাসপাতালও ছিল, যা যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হতো। দূরবর্তী অঞ্চলে মহামারি মোকাবিলায় ৪০টি উটের কাফেলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হতো।

মিসরে প্রথম বিমারিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয় আহমদ ইবন তুলুনের সময়, ৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে, ফুসতাতে। এর নাম ছিল ‘বিমারিস্তান আতিক’।

এর জন্য ওয়াক্‌ফ তহবিল রাখা হয়েছিল, এবং শর্ত ছিল যে এটি শুধু সাধারণ মানুষের জন্য, সৈন্য বা দাসদের জন্য নয়। এর বার্ষিক খরচ ছিল ৬০ হাজার দিনার (স্বর্ণমুদ্রা)। ইবন তুলুন নিজে প্রতি সপ্তাহে এটি পরিদর্শন করতেন এবং জুমার দিনে মুসল্লিদের জন্য জরুরি সেবার ব্যবস্থা করেছিলেন। এতে ছিল ১ লাখের বেশি বইয়ের গ্রন্থাগার। (মাকরিজি, খিতাত, ২/৪০৫, দারু সাদির, কায়রো, ১৮৫৩)

সংগীতজ্ঞ ও গল্পকারেরা এখানে রোগীদের মনোবল বাড়াতেন। ঘরে সুগন্ধি গাছ রাখা হতো, রোগীদের হাতপাখা দেওয়া হতো গরম ও পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বিমারিস্তান ‘নাসিরি’ প্রতিষ্ঠা করেন। তবে মিসর ও মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বিমারিস্তান ছিল মনসুর কালাউনের প্রতিষ্ঠিত বিমারিস্তান, ১২৮৪ খ্রিষ্টাব্দে। এখানে নারী-পুরুষ সবার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল, চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সময়সীমা ছিল না। এখানে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হতো।

সংগীতজ্ঞ ও গল্পকারেরা এখানে রোগীদের মনোবল বাড়াতেন। রাতের দীর্ঘ সময় রোগীদের জন্য কষ্টকর হতো, তাই ফজরের আজান দুই ঘণ্টা আগে দেওয়া হতো, যাতে রোগীরা সকালের আশায় উৎফুল্ল হয়। ঘরে সুগন্ধি গাছ রাখা হতো, রোগীদের হাতপাখা দেওয়া হতো গরম ও পোকামাকড় থেকে রক্ষার জন্য।

সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের পোশাক ও কিছু টাকা দেওয়া হতো, যাতে তারা তাড়াতাড়ি কাজে ফিরতে না বাধ্য হয়। এই বিমারিস্তান ২০০ জনের বেশি দরিদ্র রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসা দিত। (মাকরিজি, খিতাত, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৪০৭)

দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসাগ্রন্থ

মুসলিম সভ্যতার চিকিৎসকেরা লক্ষ করেন, চিকিৎসা কখনো কখনো ধনীদের কাছে ব্যবসায় পরিণত হন। তাই তাঁরা দরিদ্রদের জন্য সহজলভ্য চিকিৎসা গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা নিজেরা নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে বা ছোট চিকিৎসকেরা তাদের সহজে চিকিৎসা দিতে পারেন। এই গ্রন্থগুলোয় স্থানীয় ও সাশ্রয়ী উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হতো; কারণ, ভারত বা চীন থেকে আমদানি করা ওষুধ ছিল দামি।

আরও পড়ুনইসলামে দারিদ্র্য দূরীকরণের ৮টি ব্যবহারিক উপায়০২ নভেম্বর ২০২৫

আবু বকর আর-রাজি: তিনি দরিদ্রদের প্রতি অসাধারণ দয়া দেখাতেন এবং তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করতেন। তিনি দুটি গ্রন্থ রচনা করেন: ‘বুরউ সা’আত’ (তাৎক্ষণিক চিকিৎসা) এবং ‘মান লা ইয়াহদুরুহু তাবিব’ (যার কাছে চিকিৎসক নেই), যাকে ‘তিব্বুল ফুকারা ওয়াল মাসাকিন’ (দরিদ্রদের চিকিৎসা) বলা হয়।

তিনি লিখেছেন, ‘অনেক চিকিৎসক ওষুধ ও খাবারের কথা লেখেন, যা শুধু রাজাদের ভান্ডারে পাওয়া যায়। আমি সাধারণ ও সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে চিকিৎসার একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ লিখতে চাই, যাতে সবাই এর সুবিধা পায়।’ (আল-রাজি, মান লা ইয়াহদুরুহু তাবিব, পৃষ্ঠা ১৫, দারুল কুতুব, বৈরুত, ১৯৮৫)

মুসলিম সভ্যতা দরিদ্রদের চিকিৎসায় অসাধারণ মানবিকতা দেখিয়েছে। বিমারিস্তান ছিল দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হতো।

ইবনে জাজ্জার কায়রাওয়ানি: তিনি কখনো দরিদ্রদের কাছ থেকে চিকিৎসার ফি নিতেন না। তিনি তিব্বুল ফুকারা ওয়াল মাসাকিন গ্রন্থে লিখেছেন, ‘দরিদ্ররা স্বাস্থ্য ও রোগ–সম্পর্কিত বইয়ের সুবিধা পায় না। তাই আমি এমন একটি গ্রন্থ লিখলাম, যাতে সহজলভ্য ওষুধ দিয়ে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করা যায়।’ (ইবনে জাজ্জার, তিব্বুল ফুকারা, পৃষ্ঠা ১০, দারুল ফিকর, কায়রো, ১৯৯০)

ইবনে আকফানি: তিনি গুনইয়াতুল লাবিব ফি গাইবাতিত তাবিব (চিকিৎসক না থাকলে জ্ঞানীর সম্পদ) গ্রন্থে জরুরি রোগের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য রক্ষার পরামর্শ দিয়েছেন।

জামালুদ্দিন ইউসুফ মাকদিসি: তিনি ‘তিব্বুল ফুকারা’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘ধনীরা সুস্বাদু খাবার খায়, তাই তাদের রোগ বেশি। দরিদ্ররা সাধারণ খাবারে সন্তুষ্ট থাকে, তাই তাদের রোগ কম। কিন্তু দরিদ্ররা অসুস্থ হলে তাদের জন্য সহজ ও সস্তা ওষুধ দরকার।’ (মাকদিসি, তিব্বুল ফুকারা, পৃষ্ঠা ৮, দারুল মারিফা, বৈরুত, ১৯৯২)

মুসলিম সভ্যতা দরিদ্রদের চিকিৎসায় অসাধারণ মানবিকতা দেখিয়েছে। বিমারিস্তান ছিল দরিদ্রদের জন্য আশ্রয়, যেখানে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা দেওয়া হতো। চিকিৎসকেরা দরিদ্রদের জন্য সহজলভ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন, যাতে তারা নিজেদের চিকিৎসা করতে পারে। এই ঐতিহ্য দেখায়, ইসলামি সভ্যতা কেবল জ্ঞান বা শক্তিতে নয়, মানবিকতা ও দয়াতেও শ্রেষ্ঠ ছিল।

আরও পড়ুনআপনার মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসা নিচ্ছেন তো২১ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ