ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় ভেস্তে যেতে বসেছে ১৬৮ কোটির প্রকল্প
Published: 27th, May 2025 GMT
ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় মাদারীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের ১৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প ভেস্তে যেতে বসেছে। ভূমি অধিগ্রহণের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে জমির মূল্য বাবদ ৯৬ কোটি টাকা জেলা প্রশাসককে দিলেও ডাল গবেষণা কর্তৃপক্ষ দুই বছরেও বুঝে পাননি অধিগ্রহণের জমি।
প্রকল্প পরিচালক বারবার জেলা প্রশাসকের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা পাননি। ২০২৬ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা, অথচ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করার কারণে মেয়াদের মধ্যে প্রকল্প শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ২০০৫ সালে ২০.
এখন পর্যন্ত গবেষণা করে মুসুরির ৮টি জাত, খেসারির ৬টি জাত ও বারি মটরের ৩টি জাত উদ্ভব করা হয়েছে। আরও অধিকতর গবেষণার জন্য আধুনিক ল্যাব ভবন, পরীক্ষামূলক ডাল চাষের জমি ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য ২০২১ সালে মাদারীপুর ডাল উৎপাদন বৃদ্ধি নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। এজন্য ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পাশে ৩০ একর জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ কোটি টাকা।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসন ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে ভূমি অধিগ্রহণের জমি, স্থাপনা, গাছপালা, ফসলসহ সব ধরনের যাচাই বাচাই করে ক্ষতিপূরণের মূল্য নির্ধারণ করে। সকল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ২০২৩ সালে জেলা প্রশাসককে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ৯৬ কোটি টাকা দিয়ে দেয় প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
টাকা দেওয়ার দুই বছর কেটে গেলেও এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণের জমি প্রকল্প পরিচালককে বুঝিয়ে দিতে পারেনি জেলা প্রশাসন। অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা জমি মালিকদের না দেওয়ায় জমির মালিকরা জমি ছাড়ছেন না। প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠদের দাবি, জমি বুঝিয়ে দিতে দেরি করলে অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এই প্রকল্পের কাজ।
এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক ও মাদারীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক ড.সেলিম আহম্মেদ বলেন, “মাদারীপুর ডাল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পটির মেয়াদ আগামী বছর শেষ হয়ে যাবে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা জমিই বুঝে পাইনি। আমরা জমির নির্ধারিত মূল্য জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়ে দিয়েছি। আমি একাধিকবার চিঠি দিয়ে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেছি। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও একাধিকবার জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি।”
জেলা প্রশাসক মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “ডাল গবেষণার যে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তা নিয়ে একটু জটিলতা দেখা দিয়েছে। ২০২৫ সালে জমির কিছু মূল মালিক জমির মূল্য কম নির্ধারণ করা হয়েছে মর্মে আবেদন করেছেন। আমরা সে আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। আমি নিজেও মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে সেটাও তাদের জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এলে সেভাবে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।”
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল
শিল্পীর সৌজন্যে