পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের কোরবানির পশুর হাট-সংলগ্ন এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধার্থে এই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ঈদের আগে পশুর হাটে নগদ লেনদেন হয়। তাই হাটের আশপাশের ব্যাংক শাখা ও উপশাখাগুলো আগামী ৩ জুন থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে। এতে ক্রেতা-বিক্রেতারা নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন।

আরো পড়ুন:

হাটে অস্থায়ী ব্যাংক বুথ স্থাপনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এসব বুথে নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনের পাশাপাশি নতুন হিসাব খোলার সুবিধাও থাকবে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য বিশেষ ভাতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত গরুর হাটগুলোর আশপাশে অবস্থিত ব্যাংক শাখাগুলোকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই উদ্যোগের ফলে পশুর হাটে নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এতে গ্রাহকরা নির্বিঘ্নে ও ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে লেনদেন করতে পারবেন।

যেসব এলাকায় সান্ধ্য ব্যাংকিং চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রাজধানীর উত্তরা, দিয়াবাড়ি, ভাটারা সুতিভোলা, খিলক্ষেত মাস্তুল, মোহাম্মদপুর বছিলা, গাবতলী গরুর হাট, মিরপুর-৬, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক এলাকা, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সংলগ্ন মাঠ, খিলগাঁও রেলগেট, পোস্তগোলা, ধোলাইখাল, দনিয়া কলেজ মাঠ, রহমতগঞ্জ, শ্যামপুর কদমতলী, কমলাপুর, আমুলিয়া ও চট্টগ্রামের সাগরিকা এলাকা।

ঢাকা/এনএফ/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব ন র হ ট ঈদ ল নদ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ