পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। রোববার থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও ভোকেশনালে ছুটি শুরু হয়েছে। অবশ্য আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ২৯ মে থেকেই বন্ধ হয়ে গেছে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি কলেজে ঈদের ছুটি শুরু হবে মঙ্গলবার। 

এবার ছুটির ক্ষেত্রে ভিন্নতাও রয়েছে। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৩ দিন বন্ধ, আবার কোথাও মাত্র ১০ দিন ছুটি। সবচেয়ে বেশি ২৫ দিনের ছুটি পাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত চলতি শিক্ষাপঞ্জি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো এবার ছুটিতে থাকবে ২৩ দিন। শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী–ছুটি ১ থেকে ১৯ জুন। তবে ছুটি শুরুর আগে এবং পরে দুই দিন করে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ দিনে।

আর মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে সর্বোচ্চ ২৫ দিন। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সূচি অনুযায়ী– তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা এবং বেসরকারি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাগুলোতে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশের সমন্বিত ছুটি ১ থেকে ২৫ জুন। কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থাৎ, প্রি-ভোকেশনাল, প্রি-ভোকেশনাল (মাদরাসা) ও এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল (ভোকেশনাল) পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানেও ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি একসঙ্গে পড়েছে। টানা ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধ শেষে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে ২২ জুন।

এছাড়া দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামীকাল ৩ জুন থেকে টানা ২১ দিন বন্ধ থাকবে। ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ জুন। সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলো ছুটিতে থাকবে ১০ দিন। ৩ জুন থেকে ছুটি শেষে ১৩ জুন পুনরায় ক্লাস শুরু হবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ র ছ ট কল জ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ