বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজীকরণে বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল খালিফাকে অনুরোধ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রইস হাসান সরোয়ার।

বাহারাইনের রিফা প্রাসাদে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ অনুরোধ করেন।

বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রইস হাসান সরোয়ার রবিবার (১ জুন) বাহরাইনের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল খালিফার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান এবং রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক দায়িত্ব পালনে সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন। পাশাপাশি  তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত বাহরাইনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন শ্রমবাজার উন্মোচন এবং ভিসা প্রাপ্তি প্রক্রিয়া সহজীকরণের জন্য বিশেষভাবে ফ্যামিলি ভিসার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনার অনুরোধ জানান।

তিনি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের সুস্বাস্থ্য ও সাফল্য কামনা করেন। এছাড়া, বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস এবং অন্যান্যদের মধ্যে বাহরাইনের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী হামাদ বিন ফয়সাল আল মালকি, ক্রাউন প্রিন্সের আদালতের প্রধান শেখ সালমান বিন আহমেদ আল খলিফা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হামাদ আল মাহমুদ।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র উন প র ন স মন ত র ম দ আল র ইন র অন র ধ

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে নেদারল্যান্ডসে জোট সরকারের পতন

নেদারল্যান্ডসের কট্টর ডানপন্থী দল ‘পার্টি ফর ফ্রিডম’ (পিভিভি) সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মঙ্গলবার দলটির নেতা গির্ট উইল্ডারস এ ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতন ঘটল।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের উইল্ডারস বলেন, ‘সবচেয়ে কঠোর অভিবাসন নীতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলাম, নেদারল্যান্ডসের পতনের জন্য নয়। তাই এই সরকারে আমাদের দায়িত্ব এখানেই শেষ হলো।’

ডাচ ইতিহাসের সবচেয়ে ডানঘেঁষা সরকার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে উইল্ডারস দেশটির রাজনীতিকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিলেন। সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ১৫০ আসনের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ডিক শুফের নেতৃত্বাধীন সরকারের আসন মাত্র ৫১টিতে দাঁড়ায়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উইল্ডারসের দল জোট ত্যাগ করলে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ডিক শুফ। বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

জরিপ বলছে, এখনই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে কিছু আসন হারালেও পিভিভি সবচেয়ে বড় দল হিসেবে টিকে থাকবে। মধ্য ডানপন্থী পিপলস পার্টি ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ডেমোক্রেসি থেকে সামান্য এগিয়ে থাকবে দলটি।

তবে পিভিভি সহজে নতুন সরকার গঠন করতে পারবে এমন নিশ্চয়তা নেই। নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বহু সক্রিয় দল রয়েছে। এককভাবে কোনো দল কখনো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। জনমত জরিপ ইঙ্গিত করছে, নতুন নির্বাচনে মধ্য ডান ও মধ্য বাম উভয় পক্ষই লাভবান হতে পারে।

আরও পড়ুননেদারল্যান্ডসে ডানপন্থীদের জয়ের পর উদ্বেগে মুসলমানেরা২৪ নভেম্বর ২০২৩

২০২৩ সালের নভেম্বরে আয়োজিত নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল গির্ট উইল্ডারসের পিভিভি। তবে দীর্ঘ আলোচনা ও দর-কষাকষির পর চুক্তি হয়। দল জোট সরকারে যোগ দিলেও উইল্ডারস পার্লামেন্টে অনেকটা প্রভাবহীন ছিলেন।

ইসলাম ও অভিবাসনবিরোধী বক্তব্যের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে উইল্ডারসের। ২০১৪ সালের নির্বাচনী সমাবেশে মরক্কোর এক অভিবাসীকে অপমান করায় বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর দল খোলামেলাভাবেই দেশটিতে ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পবিত্র কোরআন ও মসজিদের বিরোধিতা করে আসছে।

গত সপ্তাহে বিরল এক আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি দেশের অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার আলটিমেটাম দেন গির্ট উইল্ডারস। যদিও অভিবাসন ও আশ্রয়বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তাঁরই দলের একজন। এরই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ