ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী ১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৪৫০ পরিবারের অন্তত দেড় হাজার মানুষ। রপ্তানিকারকদের কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি জমলেও স্থলবন্দরের ব্যবসা কার্যক্রমসহ যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক আছে।

গত শনিবার রাত থেকে উপজেলায় পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে আখাউড়ার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলে পানি বেড়ে চলেছে। আখাউড়া স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কালন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আবদুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাঙ, বাউতলা দিয়ে মরা গাঙ ও মোগড়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে চলা হাওড়া নদী দিয়ে গত শনিবার রাতে অস্বাভাবিকভাবে ঢলের পানি ঢুকতে শুরু করে। এতে আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নের গ্রামের ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও কিছু বাড়িঘর তলিয়ে যায়।

আগরতলা-আখাউড়া আন্তর্জাতিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পুলিশ অভিবাসন চৌকি (ইমিগ্রেশন) দিয়ে পাসপোর্টধারী মানুষ পারাপার ও বন্দরের অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ এস এম নিয়াজ নাহিদ এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, আগামী ০৫ জুন থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিঅ্যান্ডএফ)।

এ সংক্রান্ত চিঠি বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, বুড়িমারী উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, বুড়িমারী বিজিবি কমান্ডার, পুলিশ ইমিগ্রেশন, ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশন, চ্যাংড়াবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ও ভুটান আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনকে দেওয়া হয়েছে।

বুড়িমারী কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট (সিঅ্যান্ডএফ) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ০৫ জুন থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত  বুড়িমারী স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে। তবে আগামী ১৫ জুন থেকে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম যথা নিয়মে চলবে।
  
বুড়িমারী স্থলবন্দরের অভিবাসনচৌকির (ইমিগ্রেশন পুলিশ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঈদে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ  থাকলেও আমাদের ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকবে না। এ সময় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাহাত হোসেন বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা আমদানি- রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্যবসায়ী ও পরিবহনে নিযুক্ত ব্যক্তিরা আমদানি-রপ্তানি না করলে স্বাভাবিকভাবে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ সময় বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের কাস্টমস কার্যালয় খোলা থাকবে এবং পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত চালু থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ১০ দিন বন্ধ
  • কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে নিহত তরুণের লাশ হস্তান্তর
  • আখাউড়ায় আকস্মিক বন্যায় ১৯ গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দি ৪৫০ পরিবার
  • ঈদে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ১০ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
  • আখাউড়ায় পাহাড়ি ঢলে কয়েক গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী ১৫ পরিবার
  • ১০ দিন বন্ধ থাকবে হিলি বন্দরের কার্যক্রম