ঈদুল আজহা সামনে রেখে সড়ক, রেল ও নৌপথে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। তবে ঢাকার প্রধান নৌ বন্দর সদরঘাট টার্মিনালে চোখে পড়ছে না ঈদের সেই চিরচেনা ভিড় বা আমেজ।

নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি কম, আগাম টিকিট বিক্রিতেও নেই প্রত্যাশিত সাড়া। লঞ্চগুলোর অন্তত ৭০ শতাংশ কেবিনের টিকিট বিক্রি হয়নি। সব মিলিয়ে টার্মিনালে যেন ঈদের ব্যস্ততা এখনো ধরা দেয়নি।

ঈদের ১৫ দিন আগে থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু এবার বেশিরভাগ লঞ্চেই সেই চিরচেনা চিত্র অনুপস্থিত। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈরী আবহাওয়াই এর অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরো পড়ুন:

৭ দিন পর সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌরুটে ট্রলার চলাচল শুরু

৫ দিন পর চালু চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুট

অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে, ঈদ উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ জুন) থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস চালু হবে, যা চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু যাত্রী সেভাবে না থাকায় সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন।

ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক মোবারক হোসেন বলেন, “৩ জুন থেকে বিশেষ লঞ্চ চালু হবে। যাত্রী বাড়লে পন্টুনে ভেড়ানো হবে অতিরিক্ত লঞ্চ। সুশৃঙ্খল ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

সদরঘাট থেকে সবচেয়ে বেশি যাত্রী যেতেন বরিশাল রুটে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় সড়কপথে যাত্রা অনেক সহজ হয়েছে। ফলে নৌপথে যাত্রী সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।

পারাবত লঞ্চের ম্যানেজার হাবিব বলেন, “৩০ শতাংশ কেবিনও বিক্রি হয়নি। আগে এই সময় কেবিন পাওয়া যেত না। এবার লোকজন আসছেই না। পদ্মা সেতুর পর আমরা এখন ভাগ্যের ওপর নির্ভর করি।”

ভোলাগামী এমভি সাব্বির লঞ্চের কেবিনবয় সাকিব বলেন, “আগাম কেবিন বিক্রিই হয়নি। আবহাওয়া খারাপ, রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভালো না। এজন্য অনেকে গ্রামে যেতে চাচ্ছে না।”

লঞ্চ মালিকরা বলছেন, সাধারণত ঈদের আগের দুইদিন যাত্রীদের চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। গার্মেন্টস ছুটি শুরু হলে শেষ মুহূর্তে কিছু যাত্রী বাড়তে পারে।

ঢাকা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন পথ ন পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ