চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার উদ্যোগে ‘শহীদ জিয়ার প্রথম চট্টগ্রাম, শেষ চট্টগ্রাম’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী দোয়া, খতমে কুরআন, দুঃস্থদের মাঝে খিচুরি বিতরণ কর্মসূচি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর তোপখানা রোডে চট্টগ্রাম সমিতি ভবনের নিজস্ব মিলনায়তনে রোববার প্রথম দিন এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দিন সোমবার সকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা চট্টগ্রাম সমিতির আজীবন সদস্য আসলাম চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার আজীবন সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা মীর দোস্ত মোহাম্মদ খান। সভা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম সমিতির আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন মিজান। 

‘শহীদ জিয়ার প্রথম চট্টগ্রাম, শেষ চট্টগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আসলাম চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলামী মূল্যবোধ, জাতীয়তাবাদী চেতনার ক্ষণজন্মা গুটি কয়েকজনের মধ্যে জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) অন্যতম। শহীদ জিয়ার জন্ম না হলে বাংলাদেশের মাটি-মানুষ-মানচিত্র ভারতীয় আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদ থেকে রেহাই পেত না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মুসলিম বিশ্বের দরবারে যেখানে সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানেই শান্তির বার্তা নিয়ে ছুটে গিয়েছেন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইরাক-ইরানের ৮ বছর ব্যাপী যুদ্ধ শেষ হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে তিনি সার্ক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জোরদার করতে তৎকালীন সময় ওআইসিকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছিলেন।

প্রধান বক্তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের অ্যাম্বাসেডর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড.

মো. মিজানুর রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান আজও আমাদের স্মৃতিতে অম্লান। তিনি ছিলেন সততার প্রতীক, অন্তিম মুহূর্তে মুক্তির কান্ডারি, অকুতোভয় সেনা, বাংলার উন্নয়নের পথিকৃৎ। তিনি বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি, যিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবর্তন করেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন, জাতীয়তাবাদ কখনো নৃতাত্তিক গোষ্ঠী, ভাষা বা ধর্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ হতে পারে না। এ জন্য তিনি বাংলাদেশের মধ্যে যারা অবস্থান করে, বাংলাদেশের সত্ত্বায় যারা বিশ্বাস করে, তাদের সবাইকে বাংলাদেশি বলে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন।

চট্টগ্রাম সমিতির আজীবন সদস্য আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ আব্দুল মোমেন চৌধুরী বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের পটভূমিতে আইনের সুশাসন, বহুদলীয় গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, সাম্য প্রতিষ্ঠায় ছিলেন আন্তরিক। তার প্রমাণ বিলুপ্ত আওয়ামী বাকশালকে পুনরায় রাজনীতির সুযোগ দেওয়া।

চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা এম এ হাশেম রাজু বলেন, চট্টগ্রাম সমিতির ১১৫ বছরের ইতিহাসের এই প্রথম সমিতির উদ্যোগে স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উদযাপন করা হলো। 

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কামরুজ্জামান বাবলু, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, ডা. সেলিনা আক্তার, হেফাজতে ইসলামী নেতা মাওলানা জসিম উদ্দিন, ড. নুরুল আলম, ড. শামছুল হক, সমিতির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মুসা খান, যুগ্ম আহ্বায়ক গুলতাজ বেগম, অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, মো. নাছির উদ্দিন, মো. ইকবাল হোসেন, সমন্বয়ক মোহাম্মদ মুবিনুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব মনজুর মোর্শেদ মামুন, কে এম আক্কাস, সদস্য শাহজাহান মন্টু, ইঞ্জি. কে এম ইমতিয়াজ, মো. ইসমাঈল, এস এম ফরিদ, আব্দুল আউয়াল জাহেদ, হাজী আব্দুল গণি, মোস্তফা আল ইহযায প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র রহম ন র প রথম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ সদস্য আটক 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। 

বুধবার (৪ জুন) ভোরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার জোহরপুর-টেক সীমান্ত থেকে ওই বিএসএফ সদস্যকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে হেফাজতে নেন।

বিএসএফের ওই সদস্যের নাম গণেশ চন্দ্র। তিনি ৭১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নূরপুর ক্যাম্পে কর্মরত।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেছেন, বুধবার সকালে জোহরপুর সীমান্ত দিয়ে ওই বিএসএফ সদস্য বাংলাদেশে চলে আসেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করেন। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে অনেক লোক জড়ো হন। খবর পেয়ে বিজিবির সদস্যরা এসে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেন।

এ বিষয়ে বিজিবির ৫৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ বলেছেন, ওই বিএসএফ সদস্যকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তখন সে মদ্যপ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ঢাকা/শিয়াম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ