কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে শিক্ষক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
Published: 3rd, June 2025 GMT
চাকরি ফেরতের দাবিতে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের শিখন স্কুলের ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকেরা আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের কোর্টবাজার এলাকায় ছয় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে কক্সবাজার ও টেকনাফের মধ্যকার যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে। তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন কয়েক হাজার যাত্রী। শিবিরে যেতে পারেনি বেসরকারি সাহায্য সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক জরুরি শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) অধীনে চাকরিচ্যুত শিক্ষকেরা আশ্রয়শিবিরের বিভিন্ন স্কুলে কয়েক বছর ধরে পাঠদান করে আসছিলেন। সম্প্রতি তহবিল–সংকটের কারণ দেখিয়ে ১ হাজার ২৫০ জন শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়। ছাঁটাইয়ের শিকার এসব শিক্ষক বাংলাদেশি ও স্থানীয় বাসিন্দা।
চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে চার দিন ধরে উখিয়াতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষকেরা। কর্মসূচির চতুর্থ দিন আজ সকাল সাতটা থেকে কোর্টবাজারের পেট্রলপাম্প এলাকায় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকেরা। বেলা দেড়টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা সড়ক অচল থাকায় টেকনাফ থেকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-ঢাকা এবং কক্সবাজার থেকে টেকনাফগামী কয়েক হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। তাতে নারী-শিশুসহ সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অবস্থান কর্মসূচির কারণে আশ্রয়শিবিরে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) লোকজন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) ক্যাম্পে ঢুকতে পারেননি। তাঁদের গাড়িতে বাধার সৃষ্টি করেন শিক্ষকেরা।
বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় কয়েকটি এনজিও সংস্থার গাড়ি কোর্টবাজার অতিক্রম করে আশ্রয়শিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা এনজিওর গাড়িগুলো থামিয়ে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দেন। একপর্যায়ে গাড়িগুলো উল্টো পথে কক্সবাজার শহরের দিকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
বেলা একটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ ন কর সড়ক অবর ধ কর মকর ত এনজ ও
এছাড়াও পড়ুন:
আরো ৩ ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস
ইসরায়েলের কাছে আরো তিন জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গতকাল রবিবার রাতে মরদেহগুলো রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় তারা।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
আরো পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় হামলা, ৭৫ শতাংশ ত্রাণ প্রবেশে বাধা
পশ্চিম তীরে ‘ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব’ চাপিয়ে দেওয়ার নিন্দা বাংলাদেশের
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, “রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েল তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। যেগুলো গাজায় থাকা প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে মরদেহগুলো শনাক্ত কেন্দ্রে পাঠানো হবে।”
যদি এই জিম্মির পরিচয় শনাক্ত হয় তাহলে যুদ্ধবিরতির পর হামাসের হস্তান্তর করা মরদেহের সংখ্যা ২০ জনে পৌঁছাবে। গত মাসে যখন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় তখন তাদের কাছে ২৮ জিম্মির মরদেহ ছিল।
ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফেরত দিতে দেরি করছে। কিন্তু সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, মরদেহগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ায় এগুলো উদ্ধার করতে তাদের সময় লাগছে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, রবিবার সকালে দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে তারা মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে।
পরে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, “সব জিম্মিদের পরিবারকে সেই অনুযায়ী আপডেট করা হয়েছে এবং এই কঠিন সময়ে আমাদের হৃদয় তাদের সাথে রয়েছে। আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ জিম্মিটি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামবে না।”
হোস্টেজ এবং মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম গাজা থেকে বাকি সব মৃত জিম্মিকে উদ্ধারের জন্য নেতানিয়াহুকে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে।
হামাস ও ইসরায়েল একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, রবিবার উত্তর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা তাদের সৈন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে গাজা থেকে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
ঢাকা/ফিরোজ