কিশোরীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
Published: 3rd, June 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কিশোরীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের সাবেক বিএনপি নেতা বাবর আলী মেম্বারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার।
এদিকে মামলা না করে সালিশ দরবারে দফায় দফায় সভা করে মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কিশোরীর বাবা। তিনি বলেন, মেয়ে সুস্থ হলেই মুরব্বিদের সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ দেব।
বিষয়টি জানতে পেরে বেলকুচি থানার উপপরিদর্শক আইনুল হক সোমবার দুই দফা কিশোরীর বাড়িতে যান। এ সময় বাবর মেম্বার গা ঢাকা দেন। তিনি মোবাইলে কথা বললেও পুলিশের সামনে আসেননি।
স্বজনদের বরাত দিয়ে উপপরিদর্শক আমিনুল হক সমকালকে বলেন, ওই কিশোরীর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। কখনও কখনও ধানের চাতালেও কাজ করেন। বাবা শ্রমিকের কাজের সুবাদে সিরাজগঞ্জের বাইরে থাকেন। ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাবর আলীর ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল। গত রোজার ঈদের আগে বাবর আলী কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর বাবর আলী ভ্রূণ নষ্ট করতে ওষুধপথ্য কিনে দেন। এসব কারণে ২৯ মে কিশোরীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। বাবর আলী তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
উপপরিদর্শক আরও বলেন, ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের সত্যতা পাওয়া গেলেও কিশোরীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাকে পুলিশের সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। বাবর মেম্বারকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ দিতে কিশোরীর স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিএনপি নেতা বাবর আলীর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি অবৈধভাবে গর্ভধারণ করে। পরিবারের অনুরোধে তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করেছি। কে তাকে ধর্ষণ করেছে, সে কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হলো জানি না। এ ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই।’
থানার ওসি মোহাম্মদ জাকরিয়া হোসেন ছুটিতে আছেন। পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারেক পদোন্নতি নিয়ে পাশের চৌহালী উপজেলায় গেছেন। তাদের অবর্তমানে দায়িত্বে থাকা এসআই সাইফুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না দিলে পুলিশের কি-ই বা করার আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ব এনপ ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় পলিথিন শপিং ব্যাগ বিক্রয় করায় জরিমানা, শপিং ব্যাগ জব্দ
ফতুল্লার জালকুড়ি এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ বন্ধে অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করায় মিম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ৮০ কেজি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার (৬ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমূল হুদার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপপরিচালক এ এইচ এম রাসেদ। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেল মাহমুদ প্রসিকিউশন প্রদান করেন।
উপপরিচালক এ এইচ এম রাসেদ বলেন, অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ রোধকল্পে বিধিমালা, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এর ৬ক ধারা লংঘন ১৫ এর ৪(খ) মোতাবেক জালকুড়িতে অবস্থিত নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগ বিক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ওই পলিথিন শপিং ব্যাগ জব্দ এবং জরিমানা আদায় করা হয়। এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।