অনুপ্রবেশের অভিযোগে জনতার হাতে অস্ত্রসহ আটক বিএসএফ সদস্য
Published: 4th, June 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ‘মদ্যপ অবস্থায়’ অস্ত্রসহ অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর এক সদস্যকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে বিজিবির হাতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় বিজিবি সদস্যের কাছে অস্ত্র ও গুলি হস্তান্তর করেন স্থানীয়রা।
আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। আটক বিএসএফ সদস্যের নাম গণেশ মূর্তি (৪৩)। তিনি ভারতীয় নুরপুর ৭১ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.
স্থানীয় বাসিন্দা ও নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজির আহম্মেদ বলেন, ‘জহুরপুর সীমান্ত পিলার ১৯ এর সাব পিলার ৫ এর সামনে সাতরশিয়া এলাকায় বাংলাদেশি গরু-ছাগল ভারতের ৭১ বিএসএফ’র নুরপুর ক্যাম্প এলাকায় ঢুকে যায়। এ সময় আটক বিএসএফ সদস্য গরু-ছাগলকে ধাওয়া করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়লেন। তখন স্থানীয়রা তাকে আটক করে বিজিবির কাছে সোপর্দ করেন। বর্তমানে বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে ওই বিএসএফ সদস্য।
৫৩ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু বলেন,‘ওই বিএসএফ সদস্যকে মদ্যপ অবস্থায় উদ্ধার করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ’র নুরপুর ক্যাম্পের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক বিএসএফের সদস্যের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ আটক ব এসএফ সদস য আটক ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে দুই সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন
পঞ্চগড়ে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন উপজেলা সদরের পৃথক দুই সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে নারী, শিশুসহ ২৬ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সোমবার গভীর রাতে দুই সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ জোর করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের পাঠায়। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিজিবি।
এলাকাবাসী জানায়, এদের মধ্যে সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ৯ জনকে মঙ্গলবার সকালে আটক করেন ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। পরে তাদের ঘাগড়া বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে একই উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের রতনীবাড়ি সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ১৭ জনকে আটক করে শিংরোড বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। পরে বিজিবি দুই সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ২৬ জনকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ২৬ জনের মধ্যে ৮ পুরুষ, ৯ জন নারী ও ৯ জন শিশু রয়েছে।
পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পুশইন করা বাংলাদেশি নাগরিক বলে পরিচয় দেন। তারা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করতেন। সম্প্রতি তাদের আটক করে ভারতীয় পুলিশ শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে এনে বিএসএফ সদস্যদের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ সদস্যরা রাতের আঁধারে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে। আটকদের বাড়ি কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বলে জানা গেছে।
সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, বিজিবি আমাদের কাছে ২৬ জনকে হস্তান্তর করেছে। এদের মধ্যে আট জন পুরুষ, নয় জন নারী এবং নয় জন শিশু। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আপাতত তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে নাগরিক কিনা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক হলে যত দ্রুত সম্ভব তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরকে নিরাপদে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এদের মধ্যে যদি কেউ অন্য কোন দেশের নাগরিক বা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে তিন দফায় ১১ জন, ২১ জন এবং দুইজন করে মোট ৩৪ জনকে জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে বিএসএফ। সর্বশেষ ২৬ জনসহ চতুর্থ দফায় নারী, শিশুসহ মোট ৬০ জনকে জোর করে পাঠাল বিএসএফ।