আড়াইহাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট
Published: 4th, June 2025 GMT
আড়াইহাজারে জমে উঠেছে স্থানীয় কোরবানির পশুর হাট। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি অস্থায়ী কুরবানীর পশুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুর হাট বসে। তবে বড় পরিসরে বসে আড়াইহাজার পৌরসভা ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট।
এই হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগম হয়ে উঠেছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেচাকেনা হয়েছে ভালো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই পশু বেচাকেনা হয়েছে। তবে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হত্যাশ হয়েছেন অনেক বিক্রেতা।
অপরদিকে পশুর দাম তুলনামূলকভাবে বেশী বলে দাবী করেছেন অনেক ক্রেতা। তবে তুলনামূলক বড় গরুর চেয়ে ছাট গরুর দাম বেশী লক্ষ্য করা গেছে। এই হাটে উঠানো হয় ‘বস’ খ্যাত একটি ফিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ষাঁড়ের মালিক স্থানীয় খাগকান্দা ইউনিয়নের নয়নাবাদ এলাকার রেজাউল।
তার দাবী এটির ওজন প্রায় ২৫ মণ হবে। তিনি এটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। রেজাউল বলেন, আশা করছি বাড়িতে রেখেই ষাঁড়টি বিক্রি করতে পারবো। এরই মধ্যে ক্রেতা ভিড়ছেন। তিনি আরো বলেন, স্বাভাবিক গো-খাদ্য দিয়ে ষাঁড়টি ১৫ মাস ধরে লালন-পালন করছেন।
এরই দেহের গঠন দেখে নাম রাখা হয়েছে ‘বস’। বিশাল পরিসরে এই হাটের কানাকানায় কুরবানীর পশুর সমাগম হয়েছিল। ক্রেতারা পশুর দারদাম করছিলেন। উপজেলার শিবপুর এলাকা থেকে আসা ক্রেতা আলাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, পশুর দাম তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি। ৫ মণ ওজনের একটি ষাঁড় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনা যাবে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক কুরবানীর পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। এতে প্রতি বছরই কুরবানীর পশুর বাজার নিম্মমুখী থাকে। এদিকে পশুর দাম কম থাকায় হত্যাশা প্রকাশ করেছেন খামারীসহ পাইকাররা।
স্থানীয় খাগকান্দা এলাকার এই হাটে ৪টি ষাঁড় বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসেন মিজান মিয়া। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর পশুর দাম নিম্মমুখী। তিনি বলেন, আমার প্রতিটি ষাঁড়ের ওজন ৫ মণের অধিক হবে। এগুলো দাম ক্রেতারা বলছেন ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
এতে আমার বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান যাবে। গত বছরও একইভাবে লোকসান হয়েছিল। আশায় ছিলাম এছর কিছু টাকা লাভ করে গরু বিক্রি করতে পারবো। কিন্তু হাটের অবস্থা ভালো না।
স্থানীয় দক্ষিণপাড়া থেকে আসা ক্রেতা বশীর বলেন, পশুর দাম হাতের নাগালে রয়েছে। ঈদের আরো বেশ কিছুদিন বাকী আছে। এখনই পশু কিনবো না। আরো কয়েকটি দিন দেখে নেই। বাজার আরো নিম্মমুখী হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। স্থানীয় বিশনন্দী এলকার পাইকার রহিম মিয়া বলেন, ১৫টি ষাঁড় নিয়ে আসছিলাম। মাত্র ২টি বিক্রি হয়েছে।
কয়েকদিনের টানা মুষলধারে বৃষ্টির কারণে হাটের অবস্থা বেহাল দশা। এমনভাবে চলতে থাকলে মোটা অংকের টাকা লোকসান যাবে।
আড়াইহাজার পৌরসভা অস্থায়ী পশুর হাটের কমিটির প্রধান ও আড়াইহাজার সরকারী সফর আলী কলেজের সাবেক ভিপি কবির হোসেন বলেন, হাটের সার্বিক অবস্থা ভালো। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে বৃহম্পতিবার ও শুক্রবার হাট ভালো জমে উঠবে। ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার্স্থে সকল ধরনের সু-ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এদিকে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার নাছির উদ্দিন বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তার সার্স্থে হাটগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গর র হ ট ক রব ন এই হ ট
এছাড়াও পড়ুন:
যেমন থাকবে ঈদের দিনের আবহাওয়া
শনিবার (৭ জুন) ঈদুল আজহা। এ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মিশ্র আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি থাকতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও বাড়তে পারে। তবে দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক।
শুক্রবার (৬ জুন) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, ঈদের দিন ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চল, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে, দেশের বেশিরভাগ জায়গায় আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক ও গরম।
তিনি বলেন, “বর্ষাকাল শুরু হলেও মৌসুমি বায়ু এখনো পুরোপুরি সক্রিয় নয়। ফলে আকাশ মেঘলা থাকলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হবে বিচ্ছিন্নভাবে। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও ঢাকার পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।”
আরো পড়ুন:
রাজধানীর কোনো ঈদ জামাত নিরাপত্তার বাইরে থাকবে না: ডিএমপি কমিশনার
পদ্মা সেতুতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা টোল আদায়
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের কোথাও কোথাও ঈদের জামাতের সময় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা কম। দুপুরের পর কিছু এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে; বিশেষ করে চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঈদের দ্বিতীয় দিন রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ওইদিন সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
চলতি সপ্তাহের শেষদিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে এবং তাপমাত্রা কমতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ