দিন যত বাড়ছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তাও তত বাড়ছে। বাড়ছে বাংলা ওয়েব কনটেন্টের জনপ্রিয়তাও। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই, বঙ্গ, চরকি, দীপ্ত প্লে, আইস্ক্রিনে থাকছে নানা আয়োজন।
চরকিতে ঈদের চার সিনেমা
চরকির ঈদ আয়োজন ‘বিরাট গরুর হাট’-এ থাকছে চলতি বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ৪টি সিনেমা। এগুলো হলো– শাকিব খানের ‘বরবাদ’, আফরান নিশোর ‘দাগি’, মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ এবং সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’। তাই অনেকটা না ভেবে বলা যায় এবারের ঈদে সিনেমাপ্রেমীদের অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি না করে শুধু চরকিতে থাকলেই হবে। তারা দেখে নিতে পারবেন দেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমাগুলো।
চার সিনেমা নিয়ে চরকির বিশেষ আয়োজন ‘বিরাট গরুর হাট’-এর প্রযুক্তিগত সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন।
হইচইয়ে বোহেমিয়ান ঘোড়া
ট্রাকচালক আব্বাস একজন প্রেমিক মানুষ। নানা জেলায় নানা পরিস্থিতিতে পড়ে সাতটা বিয়ে করেছেন। কোনো বউই একে অপরের ব্যাপারে জানেন না। সিরিজটি কমেডি, রহস্য ও মানবিক গল্পের এক মিশ্র অভিজ্ঞতা। যেখানে হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে ব্যথা, মিথ্যার ভেতরে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা। হাস্যরস আর জীবনের নানা গল্প নিয়ে হইচই অরিজিনালে মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত কনটেন্টগুলোর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালিত সিরিজটি।
বঙ্গতে ব্যাচেলর পয়েন্ট
একটি ছোট বাসা, চার-পাঁচজন মানুষ। সবাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিল কিন্তু সময় ওদের করে তুলেছিল পরিবারের মতো। প্রেমে পড়েছে, প্রেমে হারিয়েছে। তবু হেসেছে, কেঁদেছে, একসঙ্গে বেঁচেছে। এভাবেই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা আর যাপিত জীবনের হাস্যরস নিয়ে নির্মিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ এবার মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ অ্যাপে। নাট্যনির্মাতা কাজল আরেফিন অমি জানিয়েছেন কোরবানি ঈদের দিন মুক্তি পাবে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫’ এর ৮টি পর্ব।
আইস্ক্রিনে দুই সিনেমা, এক সিরিজ
আইস্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে দুই সিনেমা ও একটি সিরিজ। ডার্ক কমেডি থ্রিলার ঘরানায় নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম পার্টি। খালি বাসায় পার্টি করতে গিয়ে বিপদে পড়ে কয়েক বন্ধু। রিয়াদ মাহমুদের পরিচালনায় এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ বোগদাদী, লামীমা লাম, শরীফ সিরাজ প্রমুখ। এরপরই আছে তৌফিক এলাহির ‘নীলপদ্ম’। দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীর প্রেম, বিশ্বাস ও প্রতিশোধের গল্প দেখা যাবে তিন পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনি’তে। এই সিরিজের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয়ে রুনা খান, মৌসুমী মৌ, তানজিয়া জামান মিথিলা প্রমুখ।
দীপ্ত প্লেতে হাইড এন সিক
ফিল্মস্টার ইমতিয়াজ খানের বিয়ের ঘোষণার রাতেই অ্যাক্সিডেন্ট হয় রাশা নামে এক তরুণীর। কেউ কেউ বলে রাশা আসলে করতে চেয়েছে আত্মহত্যা। কারণ ইমতিয়াজের সঙ্গে রাশার ছিল গোপন সম্পর্ক। সাংবাদিক নাদিয়া এ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে ঘটে বিপত্তি। নাদিয়া বুঝতে পারে যা চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে তার চেয়েও
বড় কোনো ঘটনা ঘটছে ভেতরে ভেতরে। লুকোচুরি খেলছে আশপাশের প্রতিটি চরিত্র। গা হিম করা থ্রিলারধর্মী এ গল্প নিয়ে দীপ্ত প্লেতে আসছে ‘হাইড এন সিক’।
পরিচালনায় হিমি। অভিনয়ে তানজিন তিশা, দিঘী, চমক, জিয়াউল রোশান প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির
স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক।
নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।
নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?
সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।
ঢাকা/ইমরান/রফিক