Samakal:
2025-07-30@14:51:25 GMT

জমজমাট ওটিটি

Published: 5th, June 2025 GMT

জমজমাট ওটিটি

দিন যত বাড়ছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর জনপ্রিয়তাও তত বাড়ছে। বাড়ছে বাংলা ওয়েব কনটেন্টের জনপ্রিয়তাও। ঈদুল আজহা সামনে রেখে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই, বঙ্গ, চরকি, দীপ্ত প্লে, আইস্ক্রিনে থাকছে নানা আয়োজন।

চরকিতে ঈদের চার সিনেমা

চরকির ঈদ আয়োজন ‘বিরাট গরুর হাট’-এ থাকছে চলতি বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া ৪টি সিনেমা। এগুলো হলো– শাকিব খানের ‘বরবাদ’, আফরান নিশোর ‘দাগি’, মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ এবং সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’। তাই অনেকটা না ভেবে বলা যায় এবারের ঈদে সিনেমাপ্রেমীদের অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি না করে শুধু চরকিতে থাকলেই হবে। তারা দেখে নিতে পারবেন দেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমাগুলো। 

চার সিনেমা নিয়ে চরকির বিশেষ আয়োজন ‘বিরাট গরুর হাট’-এর প্রযুক্তিগত সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন।

হইচইয়ে বোহেমিয়ান ঘোড়া

ট্রাকচালক আব্বাস একজন প্রেমিক মানুষ। নানা জেলায় নানা পরিস্থিতিতে পড়ে সাতটা বিয়ে করেছেন। কোনো বউই একে অপরের ব্যাপারে জানেন না। সিরিজটি কমেডি, রহস্য ও মানবিক গল্পের এক মিশ্র অভিজ্ঞতা। যেখানে হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে ব্যথা, মিথ্যার ভেতরে লুকিয়ে আছে ভালোবাসা। হাস্যরস আর জীবনের নানা গল্প নিয়ে হইচই অরিজিনালে মুক্তি পাচ্ছে মোশাররফ করিমের ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত কনটেন্টগুলোর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে অমিতাভ রেজা চৌধুরীর পরিচালিত সিরিজটি।  

বঙ্গতে ব্যাচেলর পয়েন্ট

একটি ছোট বাসা, চার-পাঁচজন মানুষ। সবাই ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে এসেছিল কিন্তু সময় ওদের করে তুলেছিল পরিবারের মতো। প্রেমে পড়েছে, প্রেমে হারিয়েছে। তবু হেসেছে, কেঁদেছে, একসঙ্গে বেঁচেছে। এভাবেই তারুণ্যের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা আর যাপিত জীবনের হাস্যরস নিয়ে নির্মিত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ এবার মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ অ্যাপে। নাট্যনির্মাতা কাজল আরেফিন অমি জানিয়েছেন কোরবানি ­ঈদের দিন মুক্তি পাবে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন-৫’ এর ৮টি পর্ব।  

আইস্ক্রিনে দুই সিনেমা, এক সিরিজ 

আইস্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে দুই সিনেমা ও একটি সিরিজ। ডার্ক কমেডি থ্রিলার ঘরানায় নির্মিত হয়েছে ওয়েব ফিল্ম পার্টি। খালি বাসায় পার্টি করতে গিয়ে বিপদে পড়ে কয়েক বন্ধু। রিয়াদ মাহমুদের পরিচালনায় এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ বোগদাদী, লামীমা লাম, শরীফ সিরাজ প্রমুখ। এরপরই আছে তৌফিক এলাহির ‘নীলপদ্ম’। দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক পরিচয় ও অধিকারের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। অন্যদিকে স্বামী-স্ত্রীর প্রেম, বিশ্বাস ও প্রতিশোধের গল্প দেখা যাবে তিন পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘পাপ কাহিনি’তে। এই সিরিজের মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়। অভিনয়ে রুনা খান, মৌসুমী মৌ, তানজিয়া জামান মিথিলা প্রমুখ। 

দীপ্ত প্লেতে হাইড এন সিক

ফিল্মস্টার ইমতিয়াজ খানের বিয়ের ঘোষণার রাতেই অ্যাক্সিডেন্ট হয় রাশা নামে এক তরুণীর। কেউ কেউ বলে রাশা আসলে করতে চেয়েছে আত্মহত্যা। কারণ ইমতিয়াজের সঙ্গে রাশার ছিল গোপন সম্পর্ক। সাংবাদিক নাদিয়া এ নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে ঘটে বিপত্তি। নাদিয়া বুঝতে পারে যা চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে তার চেয়েও 
বড় কোনো ঘটনা ঘটছে ভেতরে ভেতরে। লুকোচুরি খেলছে আশপাশের প্রতিটি চরিত্র। গা হিম করা থ্রিলারধর্মী এ গল্প নিয়ে দীপ্ত প্লেতে আসছে ‘‌হাইড এন সিক’।

পরিচালনায় হিমি। অভিনয়ে তানজিন তিশা, দিঘী, চমক, জিয়াউল রোশান প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

হাবিব ও সজীবের জল্লারপাড় লেকে জমজমাট মাদক বানিজ্য

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের জল্লারপাড় এলাকায় হাবিব ওরফে পিচ্চি হাবিব (মাদকসহ ৫/৭টি মামলার আসামি), একটা খুনি পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা ভয়ংকর সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গাং লিডার। 

বাবা মৃত কমল মিয়া এক সময় পুলিশের সোর্স ছিলেন যে কিনা খুন হয় নিজ সৎ ছেলের হাতে। হাবিবের বড় ভাই মানিক এলাকার জনি নামের এক ছেলেকে খুন করে যাবজ্জীবন সাজায় জেল খাটছে।

হাবিব ৫ই আগস্ট এর আগে আজমীর ওসমানেরক্যাডার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলো। গণঅভ্যূত্থানের আগে এলাকায় বড় করে ১৫ আগস্ট পালন ও নাসিম ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং ওসমান পরিবারের পালিত ক্যাডারদের দাওয়াত করে মহড়া দেয়ার ছবি ও বিভিন্ন মিছিল মিটিং এর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। 

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর সে যোগ দেয় বিএনপিতে। এলাকার বিএনপি'র বিভিন্ন নেতা ও দেওভোগের অনেক নেতার দেখা মিলে হাবিবের অফিসে ও আড্ডায়। অনেকেই আসে হোন্ডার বহর নিয়ে যার ফলে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলেনা। মানুষকে আতঙ্কে রাখতে হাবিবকে দেখা যায় নিজে বড় বড় ছুড়ি নিয়ে মহড়া দিতে। 

হাবিবকে শেন্টার দিচ্ছে বিএনপি'র ক্যাডার গাল কাটা জাকিরের ছোট ভাই ডাকাত সজিব। ডিস বাবুর নির্দেশে ডাকাতি করতে যাওয়া সজিব ডাকাতি মামলায় ৯বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, হাইকোর্ট থেকে আপিল করে জামিনে আছে। সদর থানায় ৪/৫ টির বেশি মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। হাবিব ও সজীব নারায়ণগঞ্জে আজমির ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। 

৫ আগস্টের পর সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদাররা এলাকা ছাড়লেও হাবিব ও সজীব এলাকায় আছে বহাল তবিয়তে। এর কারণ হাবিবের মাদক ব্যবসার অডেল টাকা ও তাদের দুজনের ক্ষমতা। মাদকের টাকায় হাবিব করেছে এলাকায় আলিশান  দুইতালা বাড়ি। হাবিব ও সজীবের আয়ের উৎস হল  তারা পাইকারি হিরোইন ইয়াবা ও গাজা ব্যবসায়ী। 

এক নং বাবুরাইল, ২ নং বাবুরাইল, জিমখানা, পাইকপাড়া, নলুয়াপাড়া, ঋষিপাড়া সব জায়গায় হাবিব ও সজীবের মাদক বিক্রি হয়। হাবিবের দখলকৃত সবচেয়ে বড় স্পট হলো জিমখানা পানির টাংকি যা ফাইম ও সায়েম দেখে। এসব স্পটে দৈনিক লাখ লাখ টাকার নেশা বিক্রি হয়। 

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, এখান থেকে মাসোহারা পৌঁছে যায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে সেই সাথে নামধারী সাংবাদিকদের কাছে মাসোহারা পৌছে। জনশ্রুতি রয়েছে, এসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও কথিত সাংবাদিকদের দাপটে হাবিব ধরা ছোঁয়ার বাইরে। 

হাবিবের প্রধান সেলসম্যান মিলন ও মাসুম ওরা একাধিকবার ডিবির কাছে গ্রেফতার হয় পরে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ছাড়া পায়। ওদের দুজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে বিভিন্ন তথ্য।

এলাকায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা হলেও হাবিবকে ধরতে পারছে না প্রশাসন এর কারণ পুরো এলাকা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা জল্লারপাড় মসজিদের সামনে বিভিন্ন দোকানদার তাকে ফোন করে জানিয়ে দেয় এলাকায় পুলিশ আসছে, প্রশাসন ঢোকার আগেই হাবিব সটকে পড়ে। এলাকা ঘনবসতি হওয়ায় লুকিয়ে যায় অন্য কারো ঘরে এজন্য প্রশাসন ধরতে না পড়ে চলে আসে। 

এলাকার সবাই রাতে যখন ঘুমায় তখন তার বিচরণ দেখা যায় বিভিন্ন অলিতে গলিতে। গভীর রাতে সঙ্গী সহ অনেক পাওয়ারের টর্চ লাইট ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র  সাথে থাকে ডাকাত সজিব ও কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। হাবিব ও সজীবের বিরুদ্ধে রয়েছে অন্যের জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগও। 

একাধিক বাড়ির মালিক তাদের বাড়ির কাজ করতে পারছে না তাদের দুজনের জন্য। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ। চাঁদা দিয়ে মীমাংসা করলেই বাড়ির কাজ করতে পারছেন। অন্যের কেনা বাড়িতে সাইনবোর্ড  ঝুলিয়ে দিচ্ছে তারা দুজন জায়গার দাবি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। 

এলাকাবাসী এখন হাবিব ও সজীবের হাতে জিম্মি। সবাই এর থেকে মুক্তি চায়। হাবিব এতটাই ধুরন্দর যে প্রশাসনে হাত থেকে বাঁচার জন্য ৫ ই আগস্ট এর পর এলাকায় ওয়াইফাই ব্যবসা দিয়েছে, তার সেলসম্যান মাসুম এই ব্যবসার ম্যানেজার সে সম্পূর্ণ ব্যবসা দেখাশোনা করছে। মাসুমেরও বিভিন্ন  ছবি আছে আজমির ওসমানের মিছিলে ও ১৫ ই আগস্টের খিচুড়ির বিতরনের অনুষ্ঠানে। 

ছাত্র আন্দোলনের সময়  হাবিব, সজীব ও মাসুম তাদের সবারই ওসমান পরিবারের পক্ষে ছিল নজর কাড়া ভূমিকা। মোট কথা এলাকাবাসী এখন সম্পূর্ণ জিম্মি হাবিব ও সজীবের কাছে।

নারায়ণগঞ্জের সব মাদকের স্পটে অভিযান হলেও জল্লারপাড়ায় হাবিবের মাদকের স্পটে কেন অভিযান হচ্ছে না এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তারা হাবিব ও সজীবের জিম্মি থেকে মুক্তি হতে চায়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাবিব ও সজীবের জল্লারপাড় লেকে জমজমাট মাদক বানিজ্য