৯০ শতাংশ দলের দাবি পাশ কাটিয়ে এ সিদ্ধান্ত কি না, প্রশ্ন জাগে: খসরু
Published: 6th, June 2025 GMT
আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যেখানে ৯০ শতাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, সেখানে ৯০ শতাংশের দাবিকে বাইপাস করে (পাশ কাটিয়ে) কীভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়, সেটি নিয়ে প্রশ্ন জাগে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আজ শুক্রবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা (অন্তর্বর্তী সরকার) সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি বলে বলা হচ্ছে। সেখানে ৯০ শতাংশকে এড়িয়ে এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঐকমত্য থাকল কোথায়?’
নির্বাচন বিষয়ে এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব সরকারকে প্রভাবিত করেছে কি না, মানুষের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে বলে উল্লেখ করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো গোষ্ঠীর প্রভাব থাকে, তাহলে তো একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের যে বিষয়টা সামনে আসবে, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।’
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণার পরে এ বিষয়ে দলীয় অবস্থান কী হবে, সেটা ঠিক করতে আজ রাত নয়টায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। সভা শেষে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে