অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাতে আস্থা রাখতে চায় আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এ কথা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা আমাদের পূর্ববর্তী প্রস্তাব ও এ–সংক্রান্ত পর্যালোচনার সঙ্গে না মিললেও আমরা তাঁর ওপর আস্থা রাখতে চাই।’

এবি পার্টি বলেছে, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন এবং সরকারের গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমরা গভীর আগ্রহ নিয়ে অবলোকন করেছি। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সরকারের কাছে এসব বিষয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম। আজ তাঁর প্রতিফলন ঘটায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি।’

আবহাওয়ার কারণে এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে—এমন শঙ্কার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তবে প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু সামগ্রিক প্রস্তুতির বিষয়ে আলোকপাত করেছেন এবং প্রাসঙ্গিকভাবে সময়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন, তাতে আমরা উনার সরকারের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব বজায় রাখতে চাই।’

এ ছাড়া বিবৃতিতে সংস্কার ও বিচারের একটা সন্তোষজনক অগ্রগতি এবং নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য এপ্রিল পর্যন্ত সময়টা আপাতদৃষ্টে বিলম্বিত মনে হলেও সব পক্ষের এ ব্যাপারে ঐকমত্য প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘আশা করি, সরকার ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ত্যাগের মনোভাব দেখিয়ে এ ব্যাপারে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে সচেষ্ট হবেন।’

এর আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনসংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুনসংসদ নির্বাচন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো দিন: প্রধান উপদেষ্টা৩ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র প

এছাড়াও পড়ুন:

ঐকমত্য কমিশন হাজির করেছে অনৈক্যের দলিল: বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন

ঐকমত্য কমিশনের কাজ ঐকমত্য তৈরি করা হলেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে অনৈক্যের দলিল হাজির করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন।

জহির উদ্দিন বলেছেন, ‘যতটুকু ঐক্য নিশ্চিত করা যায়, ততটুকুই ঐকমত্য কমিশনের কাজ। বাকিটা ঐক্যের চেষ্টার জন্য রেখে দিতে হবে।…কিন্তু তা না করে যখন এ রকমভাবে হাজির করা হচ্ছে সিদ্ধান্তের নামে, তখন মূলত বিরোধে লিপ্ত হওয়ার জন্য একটা পরোক্ষ আহ্বান এবং একটা বিরোধের এজেন্ডাকে কিন্তু হাজির করা হয়।’

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে এ কথা বলেন জহির উদ্দিন। সংলাপের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে মতভেদ দেখা দেয়। বিএনপি অভিযোগ তুলেছে, তাদের আপত্তির বিষয়গুলো রাখা হয়নি সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায়। আলোচনায় আসেনি, এমন কিছুও যুক্ত করা হয়েছে।

সংলাপে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনই জাতির সামনে জানাল যে ঐক্য নাই। ঐকমত্যের কাজই হবে যতটুকু ঐক্য আছে, সেটাকে উত্তোলন করা, যতটুকু নাই ততটুকুকে জানিয়ে রাখা এর চাইতে বেশি কোনো কাজ নাই। কমিশন শব্দটার মধ্যেই তো রয়েছে যে তারা অথরিটি নয়।’

জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা থেকে যদি প্রকৃত অর্থে সংস্কারই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মেনে চলার ওপর জোর দেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম আলোরও একটা ঐকমত্য সনদ আছে, আর তা আছে আমাদের হৃদয়ে
  • রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় দিলে সরকার
  • গণভোট নিয়ে মতভেদে উপদেষ্টা পরিষদের উদ্বেগ
  • দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কেন এমন দুর্বোধ্য পথ
  • এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘ঐকমত্য সুপারিশ’ দেওয়ার আহ্বান
  • সনদ বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত, আরপিওতে পরিবর্তন আসছে
  • তড়িঘড়ি না করে সংবিধান সংস্কারে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান
  • কিছু রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে গিয়ে ফাঁদে পড়েছে: জাপা মহাসচিব
  • ঐকমত্য কমিশন হাজির করেছে অনৈক্যের দলিল: বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন