প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন তাতে জাতির আশা পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (৬ জুন) রাতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে তাতে জাতির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ৫০-এরও অধিক দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। সরকার চাইলে সর্বোচ্চ জানুয়ারি মধ্যে নির্বাচন দিতে পারত, তবে সেটা করা হয়নি। বাংলাদেশের অধিকাংশ দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিল।”

আরো পড়ুন:

চিকিৎসা শেষে রাতে দেশে ফিরছেন মির্জা ফখরুল

ত্যাগ ও আত্মশুদ্ধির সুমহান বার্তা নিয়ে আসে ঈদ: তারেক রহমান

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

মুহাম্মদ ইউনূস। বক্তব্যে তিনি ঘোষণা করেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সংক্রান্ত চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করে আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে।”

প্রতিক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকারের বন্দর ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ব্যাখ্যারও সমালোচনা করেন সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “বিদেশিদের কাছে বন্দর দেওয়ার বিষয়ে তিনি নানা যুক্তি দেখিয়েছেন। এটার জন্য সব দলের সঙ্গে আলাপ করা দরকার।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স ল হউদ দ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের নামাজ শেষে শুরু হয়েছে পশু কোরবানি

সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করছেন।

শনিবার সকালে পাড়া-মহল্লায় ঈদের নামাজ শেষে নিজ-নিজ পশু কোরবানি করছেন রাজধানীর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

সরেজমিনে ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতেই পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়ে। কোথাও বাসার নিচের গ্যারেজে, কোথাও বাসার সামনের রাস্তায়, আবার কোথাও এলাকার ফাঁকা মাঠের মধ্যে পশু কোরবানি চলছে।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. সাদেকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আল্লাহর নামে কোরবানি দিচ্ছি। ইতোমধ্যে গরু জবাই হয়ে গেছে। আল্লাহর সন্তুষ্ট লাভের আশায় এই কোরবানি দেওয়া। কবুল করার মালিক আল্লাহ।

রামপুরার বাসিন্দা গোলাম ফারুক বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ আদায় করেছি। তারপর ঈদগাহ মাঠ থেকে এসে কোরবানি দিয়েছি।

তিনি বলেন, আল্লাহ আমাকে তাওফিক দান করেছে তাই আমি কোরবানি দিচ্ছি। কোরবানি শেষে ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী গোস্ত বণ্টন করবো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ