ঈদ আর শাকিব খান—এ যেন এখন এক অটুট সমীকরণ। এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব অভিনীত ‘তাণ্ডব’ যেন সেই প্রমাণই দিল আবারও। দেশের প্রায় সব প্রেক্ষাগৃহে চলছে হাউজফুল শো, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে প্রশংসার জোয়ার।

তবে চমক এসেছে অন্যখান থেকেও—ছবির ক্যামিও চরিত্রে হাজির হয়ে রীতিমতো বাজিমাৎ করেছেন ছোটপর্দা ও ওটিটি জনপ্রিয় দুই তারকা, আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ। দর্শকদের অনেকেই মন্তব্য করছেন—"শাকিব তো ছিলেনই দুর্দান্ত, তবে মেন অব দ্য ম্যাচ নিঃসন্দেহে নিশো ও সিয়াম!"

নিশোর অনবদ্য সংলাপ, সিয়ামের ভিন্নধর্মী লুক—সব মিলিয়ে পর্দায় তাদের ক্ষণিক উপস্থিতিও যেন রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের ঘড়ির মূল্য কারো এক জীবনের স্বপ্ন

মায়ার কারণে কোরবানির পর গরুর মাংস খেতে পারিনি

ছবিটি মুক্তির পরই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দর্শকের উচ্ছ্বাস। এই অভাবনীয় প্রতিক্রিয়ায় নির্মাতা রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, এবং অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান ও সাবিলা নূর ছুটে গেছেন বিভিন্ন সিনেমা হলে—দর্শকের ভালোবাসা চোখে দেখার আশায়।

পরিচালক রায়হান রাফী জানান, “সিঙ্গেল স্ক্রিন ও সিনেপ্লেক্স—দুটো জায়গাতেই ছবিটি দারুণ সাড়া ফেলেছে। এমনকি সিনেপ্লেক্সেও দর্শকের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে, এটা যেন একক পর্দার হল!”

‘তাণ্ডব’–এর আগাম টিকিট ঈদের প্রথম তিন দিনের জন্য প্রায় শেষ। শুরুর দিনেই সিনেপ্লেক্সে ২৮টি শো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৫-এ উন্নীত করা হচ্ছে।

প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলছেন, “১৩৯টি প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে ১৩৩টিতেই মুক্তি পেয়েছে ‘তাণ্ডব’। প্রথম দিনের প্রতিক্রিয়ায় আমরা অভিভূত। আশাকরি এটি সিনেপ্লেক্স ইতিহাসে সর্বোচ্চ শো-এর সিনেমা হবে।”

শাকিব, নিশো, সিয়াম ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, সাবিলা নূর, ডা.

এজাজ, রোজী সিদ্দিকী, এফএস নাঈমসহ আরও অনেকে। নির্মাণে রয়েছে ভারতের এসভিএফ এবং বাংলাদেশের আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। সহপ্রযোজনায় চরকি এবং সহযোগিতায় দীপ্ত।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসবির বাশার প্রতারণার আরও ৯ মামলায় গ্রেপ্তার

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর চেয়ারম্যান খায়রুল বাশারকে আরও নয়টি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এই আদেশ দেন।

ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১০ দিনের রিমান্ড শেষে খায়রুল বাশারকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। প্রতারণার পৃথক নয়টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় ১৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে খায়রুল বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, তাদের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খায়রুল বাশার তাঁর স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। চক্রটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ, স্কলারশিপ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ভুয়া ভিসা প্রসেসিং, মনগড়া প্রতিনিধিত্ব ও চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা হতো। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের অনেকের নামে বিদেশি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনই করা হয়নি। আবার অনেকে বিদেশে গিয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছেন।

সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগী প্রতারিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা করেছেন।

আরও পড়ুনউচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশার গ্রেপ্তার১৪ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ