শাকিবের ‘তাণ্ডব’-এ বাজিমাৎ করলেন নিশো-সিয়াম!
Published: 8th, June 2025 GMT
ঈদ আর শাকিব খান—এ যেন এখন এক অটুট সমীকরণ। এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত শাকিব অভিনীত ‘তাণ্ডব’ যেন সেই প্রমাণই দিল আবারও। দেশের প্রায় সব প্রেক্ষাগৃহে চলছে হাউজফুল শো, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে প্রশংসার জোয়ার।
তবে চমক এসেছে অন্যখান থেকেও—ছবির ক্যামিও চরিত্রে হাজির হয়ে রীতিমতো বাজিমাৎ করেছেন ছোটপর্দা ও ওটিটি জনপ্রিয় দুই তারকা, আফরান নিশো ও সিয়াম আহমেদ। দর্শকদের অনেকেই মন্তব্য করছেন—"শাকিব তো ছিলেনই দুর্দান্ত, তবে মেন অব দ্য ম্যাচ নিঃসন্দেহে নিশো ও সিয়াম!"
নিশোর অনবদ্য সংলাপ, সিয়ামের ভিন্নধর্মী লুক—সব মিলিয়ে পর্দায় তাদের ক্ষণিক উপস্থিতিও যেন রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে।
আরো পড়ুন:
শাহরুখের ঘড়ির মূল্য কারো এক জীবনের স্বপ্ন
মায়ার কারণে কোরবানির পর গরুর মাংস খেতে পারিনি
ছবিটি মুক্তির পরই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দর্শকের উচ্ছ্বাস। এই অভাবনীয় প্রতিক্রিয়ায় নির্মাতা রায়হান রাফী, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, এবং অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান ও সাবিলা নূর ছুটে গেছেন বিভিন্ন সিনেমা হলে—দর্শকের ভালোবাসা চোখে দেখার আশায়।
পরিচালক রায়হান রাফী জানান, “সিঙ্গেল স্ক্রিন ও সিনেপ্লেক্স—দুটো জায়গাতেই ছবিটি দারুণ সাড়া ফেলেছে। এমনকি সিনেপ্লেক্সেও দর্শকের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে, এটা যেন একক পর্দার হল!”
‘তাণ্ডব’–এর আগাম টিকিট ঈদের প্রথম তিন দিনের জন্য প্রায় শেষ। শুরুর দিনেই সিনেপ্লেক্সে ২৮টি শো অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৫-এ উন্নীত করা হচ্ছে।
প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল বলছেন, “১৩৯টি প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে ১৩৩টিতেই মুক্তি পেয়েছে ‘তাণ্ডব’। প্রথম দিনের প্রতিক্রিয়ায় আমরা অভিভূত। আশাকরি এটি সিনেপ্লেক্স ইতিহাসে সর্বোচ্চ শো-এর সিনেমা হবে।”
শাকিব, নিশো, সিয়াম ছাড়াও ছবিতে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, সাবিলা নূর, ডা.
ঢাকা/রাহাত/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বর্জ্য ল্যান্ডফিলে নেওয়ার আগেই গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে: উত্তর সিটি
নিজেদের আওতাধীন এলাকায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, গতকাল শনিবার রাতের মধ্যেই তাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা কোরবানির বর্জ্য ল্যান্ডফিলে (স্থায়ী বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র) নিতে রাস্তায় ও এসটিএসে (সেকেন্ডারি বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র) জমা করে রেখেছিলেন। সকালে জমা রাখা এসব বর্জ্য ল্যান্ডফিলে নেওয়ার আগেই সেসব ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বর্জ্য শতভাগ অপসারণ হয়নি বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
আজ রোববার বিকেলে ঢাকা উত্তর সিটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। রাতে ডিএনসিসি এলাকার শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে জানানোর পরও সরেজমিন পরিদর্শনে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা উত্তর সিটি জানায়, রাত ১০টা৩৫ মিনিটের (শনিবার রাত) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হালনাগাদ তথ্যের ভিত্তিতে কোরবানির ঈদের প্রথম দিনের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। তবে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও নগরীর অনেক স্থানে পশু কোরবানি করা হয়েছে। পশু কোরবানির স্থান থেকে নতুনভাবে উৎপন্ন বর্জ্য ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা রাতের মধ্যেই সরিয়ে এনে ল্যান্ডফিলে স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে রাস্তায় ও এসটিএসে জমা রাখেন।
এতে বলা হয়, সকালে এসটিএস এবং রাস্তা থেকে বর্জ্য অপসারণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই কিছু স্থানের বর্জ্যের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি জানিয়েছে, বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়নি। আজ এবং আগামীকালও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পবিত্র ঈদুল আজহায় নগরবাসী ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। যার কারণে প্রতিনিয়ত নগরীতে বর্জ্য উৎপন্ন হয়। একই সঙ্গে চলতে থাকে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। ডিএনসিসির ১০ হাজারের বেশি কর্মী এ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন এবং বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ঘোষিত সময়ের পূর্বেই ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকা থেকে সম্পূর্ণ বর্জ্য অপসারণ করে নগরবাসীকে একটি পরিচ্ছন্ন সুন্দর শহর উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ঢাকার দুই সিটির শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত সরেজমিন করে প্রথম আলো। এতে দেখা যায়, দুই সিটিতেই বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির বর্জ্য রাস্তায় জমে রয়েছে। এসব বর্জ্য পচে উৎকট দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে আজ দুপুরে প্রথম আলোর অনলাইনে ‘রাতে শতভাগ বর্জ্য অপসারণের দাবি, সকালের ঢাকায় ভিন্ন চিত্র’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।