কারাগারে নোবেল গাইলেন ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’
Published: 8th, June 2025 GMT
সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের এবারের ঈদ কেটেছে কারাগারে। ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলায় ১৯ মে থেকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। ঈদ উপলক্ষে কারাগারের ভেতরের মাঠে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। সেখানে গান পরিবেশন করেন নোবেল। নোবেলের গানে আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন বন্দীরা।
ঈদ উপলক্ষে কারাগারে বন্দীদের জন্য বেলা সাড়ে ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বন্দীরা আনন্দময় পরিবেশে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সেখানে গান পরিবেশন করেন নোবেলসহ অন্য বন্দীরা। আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ থেকে জেমসের ‘ভিগি ভিগি’ থেকে নিজের ‘অভিনয়’ গান গেয়ে শোনান নোবেল। সামনের মাঠজুড়ে হাজারো দর্শক গলা মেলান তাঁর সঙ্গে। এসব গান শুনে অন্য বন্দীরাও মুগ্ধ হন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।
কারা অধিদপ্তরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন বন দ র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদের বিশেষ আয়োজন
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের সব কারাগারে বিনোদন ও খাবারের বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তিনটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে কয়েদি ও হাজতিদের জন্য গরু ও খাসি জবাই করা হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, শনিবার কারাগারে অনুষ্ঠিত তিনটি জামাতের মধ্যে একটি বন্দিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অন্য দু'টি জামাত ছিল স্টাফদের জন্য।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় কারাগারে দিনব্যাপী বিশেষ আয়োজনে থাকছে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন। বিশেষ খাবারের জন্য ঠিকাদারের মাধ্যমে আটটি গরু ও ১০টি খাসি জবাই করা হয়েছে। এছাড়া ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার দুঃস্থ বন্দিদের জন্য ৬০০টি লুঙ্গি এবং ৮৫০টি টি-শার্ট বিতরণ করা হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার একেএএম মাসুদ বলেন, বন্দিরা শনিবার ঈদের দিনের শুরুতেই সকালে নাস্তায় পেয়েছেন পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে মুরগির রোস্ট, গরু ও খাসি (যারা গরু খাবেন না) দেওয়া হবে। এছাড়া কোমল পানীয়, সালাদ, পান সুপারি ও মিষ্টান্ন থাকবে। রাতের আয়াজনে থাকবে ভাত, মাছ, এবং আলুর দম।
কারা অধিদপ্তর বলছে, প্রতি বছর দুই ঈদে সারাদেশের কারাগারগুলোতে বিশেষ আয়োজন থাকে। ঈদের নামাজ আদায়, বিশেষ খাবার এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও বিনোদন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঈদ আনন্দে মেতে থাকেন কয়েদি ও হাজতিরা। স্বজনদের সঙ্গে অতিরিক্ত সময় দেখা করার সুযোগ ও বাড়ির রান্না করা খাবার গ্রহণের সুযোগও পান তারা। এবারের ঈদুল আজহায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির জানান, ঈদের দিন আরপি গেটে বন্দির আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে উপহার ও সুভেনিয়র বিতরণ করা হবে। ঈদের পরদিন বন্দিদের জন্য বাইরের রান্না করা খাবার গ্রহণ ও বিতরণ করা হবে।
এছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণের অংশগ্রহণে প্রিজন ম্যারাথন-২০২৫ আয়োজন ও পুরস্কার বিতরণ, কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে।