আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা বা অতিদারিদ্র্য পরিমাপের সংজ্ঞা হালনাগাদ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, এখন থেকে ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) অনুসারে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কারও প্রতিদিন গড়ে ৩ ডলারের পণ্য ও সেবা কেনার সামর্থ্য না থাকলে, তাঁকে অতিদরিদ্র হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ তিনি আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে মৌলিক চাহিদা পূরণে কারও ২ দশমিক ১৫ ডলারের পণ্য কেনার সামর্থ্য না থাকলে তাঁকে অতিদরিদ্র বলে বিবেচনা করে আসছিল বিশ্বব্যাংক। 

বিশ্বব্যাংক চলতি মাসে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা নতুন সংজ্ঞা বা হিসাব পদ্ধতি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিম্ন মধ্যম ও উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের জন্য যে আলাদা হিসাব পদ্ধতি আছে, সেটিও হালনাগাদ করা হয়েছে। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে পিপিপি ভিত্তিতে মৌলিক চাহিদা পূরণে ৩ দশমিক ৬৫ ডলার ব্যয়ের সামর্থ্য না থাকলে এতদিন অতিদরিদ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। এ সীমা বাড়িয়ে ৪ দশমিক ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে এ সীমা ৬ দশমিক ৮৫ থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৩০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। 
আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা বা অতিদারিদ্র্য পরিমাপের নতুন  সংজ্ঞা বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে ২০২২ সালে পিপিপি ভিত্তিতে অতিদরিদ্র মানুষ ছিল ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আগের সংজ্ঞা অনুসারে ২০২২ সালে যা ছিল ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ২০ ডলারের হিসাব বিবেচনা নিলে ২০২২ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের সংজ্ঞা অনুসারে একই বছর যা ছিল ৩০ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, নতুন সংজ্ঞা বা হিসাব পদ্ধতি অনুসারে বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনে একজন অতিদরিদ্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৮১ কোটি মানুষ এখনও অতিদারিদ্র্যে বসবাস করছে। 
প্রথমবার আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার হিসাব পদ্ধতি হালনাগাদ হয় ২০০১ সালে। এরপর হয় ২০০৮, ২০১৫ ও ২০২২। সর্বশেষ হালনাগাদ করা হলো চলতি মাসে। মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য বিশ্বব্যাংক ২০১৭ সালে দুটি আলাদা আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমারেখার হিসাব শুরু করে। এর একটি নিম্ন মধ্যম আয় এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ বব য অন স র র জন য দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শুরু হচ্ছে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৫ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত। এ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে ১৩ নভেম্বর থেকে। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন যেসব শিক্ষার্থী

২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি বা সমমান এবং ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ভর্তির জন্য। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (ভোকেশনাল), এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) ও ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। এ-লেভেল, ও-লেভেল ও বিদেশি সনদধারীদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত নিয়মে সরাসরি ডিন অফিসে বা ই–মেইলে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
যেসব শিক্ষার্থী গত দুই শিক্ষাবর্ষে (২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪) স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল বা স্নাতক (পাস) প্রোগ্রামে ভর্তি হয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড পেয়েছেন, তাঁরা এই শিক্ষাবর্ষে নতুন করে ভর্তি হতে পারবেন না। তবে পূর্ববর্তী ভর্তি বাতিল করে নতুন শিক্ষাবর্ষে আবেদন করতে পারবেন। একই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থী দ্বৈত ভর্তি হলে তাঁর উভয় ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল হবে।

আবেদন ফি ৪০০ টাকা

ভর্তি ফি হিসেবে প্রাথমিক আবেদন ফি ৪০০ টাকা, যার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ২৫০ টাকা এবং কলেজের অংশ ১৫০ টাকা। ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পর রেজিস্ট্রেশন ফি ৭২০ টাকা জমা দিতে হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে অনলাইনে নিশ্চয়ন করবে। তবে নিশ্চয়ন ছাড়া কোনো আবেদনকারীকে মেধাতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। আবেদন ফি ১৯ অক্টোবরের মধ্য জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে ইন্টার্নশিপ, দৈনিক হাজিরায় সম্মানী ৬০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগে

আবেদনকারীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজের জন্য আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে। একই মেধা নম্বরপ্রাপ্ত হলে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ (৪০: ৬০ অনুপাতে) এবং প্রয়োজনে মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এরপরও সমতা থাকলে বয়স কম শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ভর্তি কার্যক্রম ধাপে ধাপে প্রথম মেধাতালিকা, দ্বিতীয় মেধাতালিকা, কোটার মেধাতালিকা এবং প্রথম ও দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। তবে এবারও তৃতীয় রিলিজ স্লিপে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না।

বিস্তারিত দেখুন এখানে

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, সুযোগ পাবেন ৪৮ জেলার যুবরা১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন১২ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে সরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে আবেদন আজ বিকেলে, ক্লাস ১৩ নভেম্বর