বাংলাদেশে অতিদারিদ্র্যের হার বেড়ে ৮ শতাংশ
Published: 10th, June 2025 GMT
আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা বা অতিদারিদ্র্য পরিমাপের সংজ্ঞা হালনাগাদ করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মতে, এখন থেকে ক্রয়ক্ষমতা সমতা (পিপিপি) অনুসারে মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য কারও প্রতিদিন গড়ে ৩ ডলারের পণ্য ও সেবা কেনার সামর্থ্য না থাকলে, তাঁকে অতিদরিদ্র হিসেবে গণ্য করা হবে। অর্থাৎ তিনি আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে মৌলিক চাহিদা পূরণে কারও ২ দশমিক ১৫ ডলারের পণ্য কেনার সামর্থ্য না থাকলে তাঁকে অতিদরিদ্র বলে বিবেচনা করে আসছিল বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক চলতি মাসে আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা নতুন সংজ্ঞা বা হিসাব পদ্ধতি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, নিম্ন মধ্যম ও উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের জন্য যে আলাদা হিসাব পদ্ধতি আছে, সেটিও হালনাগাদ করা হয়েছে। নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে পিপিপি ভিত্তিতে মৌলিক চাহিদা পূরণে ৩ দশমিক ৬৫ ডলার ব্যয়ের সামর্থ্য না থাকলে এতদিন অতিদরিদ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। এ সীমা বাড়িয়ে ৪ দশমিক ২০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের ক্ষেত্রে এ সীমা ৬ দশমিক ৮৫ থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৩০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমা বা অতিদারিদ্র্য পরিমাপের নতুন সংজ্ঞা বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে ২০২২ সালে পিপিপি ভিত্তিতে অতিদরিদ্র মানুষ ছিল ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আগের সংজ্ঞা অনুসারে ২০২২ সালে যা ছিল ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে ৪ দশমিক ২০ ডলারের হিসাব বিবেচনা নিলে ২০২২ সালে অতিদারিদ্র্যের হার ছিল ২৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আগের সংজ্ঞা অনুসারে একই বছর যা ছিল ৩০ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, নতুন সংজ্ঞা বা হিসাব পদ্ধতি অনুসারে বিশ্বব্যাপী প্রতি ১০ জনে একজন অতিদরিদ্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় ৮১ কোটি মানুষ এখনও অতিদারিদ্র্যে বসবাস করছে।
প্রথমবার আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার হিসাব পদ্ধতি হালনাগাদ হয় ২০০১ সালে। এরপর হয় ২০০৮, ২০১৫ ও ২০২২। সর্বশেষ হালনাগাদ করা হলো চলতি মাসে। মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য বিশ্বব্যাংক ২০১৭ সালে দুটি আলাদা আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সীমারেখার হিসাব শুরু করে। এর একটি নিম্ন মধ্যম আয় এবং অন্যটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বব য অন স র র জন য দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
মিতালিকে ছাড়িয়ে ইতিহাস গড়লেন মান্ধানা
দুই ঘণ্টার বৃষ্টিবিঘ্নের পর অবশেষে নাবি মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০২৫ এর প্রতীক্ষিত ফাইনাল। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ব্যাট হাতে মাঠে নামে ভারত।
শুরুটা দারুণ করে ‘উইমেন ইন ব্লু’। ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা গড়েন ১০৪ রানের জুটি। এই রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪৫ রানে আউট হন মান্ধানা। আর তাতেই রচনা হয় নতুন ইতিহাস। মিতালি রাজকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের এক আসরে ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে যান মান্ধানা।
আরো পড়ুন:
গৌহাটি টেস্টে ‘লাঞ্চের আগে টি-ব্রেক’! জানুন কেন এই ব্যতিক্রম
রোহিতের সেঞ্চুরির ‘হাফ-সেঞ্চুরি’, ঢুকলেন এলিট ক্লাবে
চলতি বিশ্বকাপে ৯ ইনিংসে মান্ধানার মোট রান ৪৩৪, যা ২০১৭ সালের আসরে মিতালি রাজের করা ৪০৯ রানের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ভারতের হয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকা:
৪৩৪ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২৫)
৪০৯ – মিতালি রাজ (২০১৭)
৩৮১ – পুনম রাউত (২০১৭)
৩৫৯ – হারমানপ্রীত কৌর (২০১৭)
৩২৭ – স্মৃতি মান্ধানা (২০২২)
এবারের আসরে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন মান্ধানা:
এখন পর্যন্ত দুইটি ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন স্মৃতি মান্ধানা। ২০১৭ সালের আসরেই প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। করেছিলেন ৩২৭ রান। আর এবার ২০২৫ বিশ্বকাপে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪.২৫ গড়ে ৪৩৪ রান। যা তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স।
তবে শুরুটা কিন্তু খুব একটা উজ্জ্বল ছিল না। প্রথম তিন ম্যাচে তিনি করেছিলেন মাত্র ৪৬ রান। কিন্তু এরপরই যেন জেগে ওঠেন। টানা দুটি ফিফটির পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
সেমিফাইনালে ভালো শুরু করেও বড় ইনিংসে রূপ দিতে পারেননি ২৯ বছর বয়সী এই ওপেনার। ফাইনালেও ভালো সূচনা করে ৫৮ বলে ৮টি চার মেরে ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।
ঢাকা/আমিনুল