সময়ের সঙ্গে স্মার্টফোনে ব্যাটারি আর চার্জের গতি দুটোই অনন্য উচ্চতায় চলে গেছে। দীর্ঘ ব্যাটারি আর দ্রুত চার্জ যে কোনো নতুন মডেলের প্রথম চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে আসছে। উন্নয়ন সংস্থা এমন গুরুত্ব বুঝে সিস্টেমের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করছে। অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের স্মার্টফোনে এখন চার্জিং স্পিড আগের তুলনায় অনেক গুণ বেড়েছে। যতটা সময় আগে লাগত, এখন তার অর্ধেকের কম সময় লাগে। আবার কিছুটা ব্যতিক্রম হয়। বিরামহীন ব্যবহার, ফোনে সংরক্ষিত গুচ্ছ অ্যাপ আর যত্ন না নেওয়ার ফলে দ্রুতগতির চার্জিং ক্রমান্বয়ে ধীরগতির হয়ে পড়ে। তাই ফোনের চার্জিং গতি বাড়িয়ে নেওয়ার প্রয়োজন তৈরি হয়।
যথার্থ ইউএসবি চার্জার
সবাই এখন ইউএসবি টাইপ-সি চার্জার ব্যবহার করবেন। সবচেয়ে জরুরি কোন ওয়াটের চার্জার ব্যবহার করছেন, তা সঠিকভাবে জানা।
নিজের ফোনের বক্সে বা স্পেসিফিকেশনে উল্লেখ থাকে চার্জিং ওয়াট। তার কম বা বেশি ক্ষমতার চার্জার দিয়ে চার্জ করলে গতি ক্রমে কমে যাবে। ক্ষতি হতে পারে মাদারবোর্ডের। অন্যদিকে, নির্ধারিত ওয়াটের থেকে বেশি ক্ষমতার চার্জার ব্যবহারে দীর্ঘ মেয়াদে তা ব্যাটারির লাইফলাইন নষ্ট করে।
ব্যাটারি হেলথ
প্রায় সব স্মার্টফোনেই এখন ব্যাটারি হেলথ অপশন বিল্টইন পাওয়া যায়। অপশনে ক্লিক করে ব্যাটারি ইউসেজ ও কী কী কারণে ধীরগতিতে চার্জ হচ্ছে, তা জেনে নেওয়া যায়। তারপর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হয়। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে কাছের পরিষেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করবেন।
যথার্থ চার্জ
সামান্য চার্জ করেই বা বারবার চার্জ করে অনেকে ডিভাইস ব্যবহার করতে শুরু করেন। অভ্যাসটি ডিভাইসের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
ডিজিটাল ডিভাইস গবেষকরা বলেন, স্মার্টফোনের ব্যাটারি ২০ শতাংশের নিচে নামলে তখনই চার্জ করবেন। অন্যদিকে, স্মার্টফোন ৯০ শতাংশ চার্জ হয়ে গেলে চার্জ থেকে বিরতি নেওয়াই শ্রেয়। উল্লিখিত পরামর্শ অনুসরণ করলে ব্যাটারি দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ থাকে। যদি কিছুক্ষণ পরপর চার্জে দিয়ে ফোনে কাজ করেন, তাহলে ধীরে ধীরে ব্যাটারির ক্ষতি হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি।
৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে।
আরো পড়ুন:
দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা
২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।
উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।”
চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত