ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যেই দেশটির তেল আবিব শহরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের পাশে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩ এই খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েল হাওম নামের আরেকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের সাতটি জায়গায় ইরান থেকে উড়ে আসা রকেট পড়েছে।

শুক্রবার ভোররাতে ইরানে ২০০ জঙ্গিবিমান দিয়ে হামলা চালায় ইসরায়েল। মূলত ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ হামলায় সব মিলিয়ে অন্তত ৭৮ জনের প্রাণহানি এবং তিন শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুনইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান, তেল আবিবে বিস্ফোরণ–ধোঁয়ার কুণ্ডলী৩৩ মিনিট আগে

এর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল আবার নতুন করে ইরানে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এসব হামলার জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, সেগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে কাজ করছে। তেল আবিব শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনইরানে নতুন করে ইসরায়েলের হামলা, তেহরানে বিস্ফোরণ৫২ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ