টাইমড আউটের ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’, তবে এখন ক্ষোভ নেই ম্যাথুসের
Published: 16th, June 2025 GMT
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস সেই স্মৃতি কখনো ভুলতে পারবেন বলে মনে হয় না।
বিশ্বকাপের মঞ্চে সেই ম্যাচ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা পেতে যে ম্যাচ জেতার কোনো বিকল্প ছিল না শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ দুই দলেরই, ব্যাটিং করতে নেমে তাঁর দল ছিল বিপদে, এমন সময় কিনা ম্যাথুস হলেন ইতিহাসের প্রথম টাইমড আউট।
২০২৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাথুসের বিপক্ষে সেই টাইমড আউটের আবেদন করার পর তা আর ফিরিয়ে নেননি। কোনো বল না খেলেই তাই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছিল ম্যাথুসকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্ষোভ বা অভিমান যেটাই হোক, এত জলদি সেটা চলে যাওয়ার কথা না ম্যাথুসের মন থেকে।
যে দলটার বিপক্ষে তাঁর এমন স্মৃতি, সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলেই অবসরে যাচ্ছেন ম্যাথুস। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া গল টেস্টই এই সংস্করণে তাঁর শেষ ম্যাচ। এর আগের দিন আজ টেস্ট জার্সি গায়েই সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ম্যাথুস। প্রশ্নোত্তরের এক ফাঁকে স্বাভাবিকভাবেই এল বাংলাদেশ প্রসঙ্গও।
আমার তখন রাগ ও হতাশা ছিল। আমি ভুল কিছু করিনি। ম্যাচের পর যখন ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়ারদের ভিডিওটা দেখাই, তখন তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসম্যাথুস অবশ্য দাবি করলেন, ওই ঘটনা নিয়ে এখন আর কোনো ক্ষোভ নেই তাঁর মনে, ‘ঘটনাটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। তারা আমার বন্ধু, তাদের বিপক্ষে (ব্যক্তিগতভাবে) আমার কিছু নেই। আমাদের সঙ্গে সব সময় ভালো (আচরণ) করেছে ওরা। ওই সময় আমাদের কিছু বাক্যবিনিময় হয়েছিল, কিন্তু আমি ক্ষোভ ধরে রাখি না। ক্ষোভ ক্রিকেটের জন্য খারাপ শব্দ।’
আরও পড়ুননীরবতা ভেঙে পাকিস্তানের চাকরি ছাড়ার কারণ জানালেন কারস্টেন৭ মিনিট আগেএখন মনে কিছু না থাকলেও ওই ঘটনা যে দীর্ঘদিন ম্যাথুসকে পীড়া দিয়েছে, সেটা বোঝা যাবে সম্প্রতি তাঁর দেওয়া এক সাক্ষাৎকার থেকেই। ক্রিকইনফোর সঙ্গে সেই সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, টাইমড আউটের ওই ঘটনার পর নাকি আম্পায়াররা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তাঁর কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছেন।
শেষ টেস্টের আগে অনুশীলনে ম্যাথুস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট ইমড আউট
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি।
৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে।
আরো পড়ুন:
দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা
২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা।
চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী।
উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।”
চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়।
মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত