বরিশালে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়’ সভা অনুষ্ঠিত
Published: 17th, June 2025 GMT
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বরিশালের আলিমাবাদ সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৬ জুন) এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন আলিমাবাদ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ডেঙ্গু মুক্ত হতে প্রত্যেকে নিজ উদ্যোগে স্ব স্ব বাড়ি-ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ডেঙ্গু মুক্ত করতে ভূমিকা রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গু ও করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় অসদুপায়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে অনেকেই প্রতারণার মাধ্যমে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। সচেতনতাই পারে এ ধরনের প্রতারণার হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে।”
তিনি বলেন, “ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।”
সভায় ক্যাম্পাস পারিচ্ছন্ন রাখতে ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা/পলাশ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির মামলা
শেয়ার কারসাজি করে প্রায় ২৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ক্রিকেটার ও মাগুরার সাবেক এমপি সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
অন্য আসামিরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের ওরফে হিরু, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, খিলগাঁওয়ের আবুল কালাম মাদবর, তার মেয়ে কনিকা আফরোজ, ছেলে মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, শরীয়তপুরের নড়িয়ার আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, মাগুরা পৌরসভার শিরিন আক্তার, ঢাকার গুলশানের জাভেদ এ মতিন, চাঁদপুরের মিরপুর উপজেলার জাহেদ কামাল, যশোরের শার্শা উপজেলার মো. হুমায়ূন কবির ও ঢাকার কেরাণীগঞ্জের তানভীর নিজাম।
এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দ্রুত সময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত প্রচলিত আইন ও বিধি পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘন করেছেন। নিজেদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিও অ্যাকাউন্টগুলোতে অবৈধ উপায়ে ফটকা ব্যবসার মতো সিরিজ লেনদেন, প্রতারণামূলক ট্রেডিং, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বাজারকে প্রভাবিত করেছেন। পরিকল্পিতভাবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার সংঘবদ্ধভাবে ক্রমাগত ক্রয়-বিক্রয় করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়িয়েছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে তাদের ২৫৬ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা অস্বাভাবিক রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ শেয়ারবাজার থেকে সংঘবদ্ধভাবে উত্তোলন করেন। আসামি আবুল খায়ের কর্তৃক তার স্ত্রী সাদিয়ার সহায়তায় ক্যাপিটাল গেইনের নামে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থের ২৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার টাকার উৎস গোপনের অভিপ্রায়ে লেয়ারিং করে বিভিন্ন খাতে স্থানান্তর করেন। আবুল খায়েরের ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ৫৪২ কোটি ৩১ লাখ ৫১ হাজার টাকার অস্বাভাবিক, অযৌক্তিক এবং সন্দেহজনক প্রকৃতির লেনদেন করা হয়।
সাকিব আল হাসানের অপরাধ: এজাহারে বলা হয়, আসামি আবুল খায়ের কর্তৃক শেয়ারবাজারে কারসাজিকৃত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং সোনালী পেপারসের শেয়ারে সাকিব আল হাসান বিনিয়োগ করে বাজার কারসাজিতে যোগসাজশ করেছেন। তিনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কারসাজিকৃত শেয়ারে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে তাদের ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রিয়ালাইজড ক্যাপিটাল গেইনের নামে অপরাধলব্ধ আয় হিসেবে শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এর আগে গত এপ্রিলে সাকিবে বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে জন্য দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।