সোনার ফোন বিক্রি করবে ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান
Published: 17th, June 2025 GMT
মোবাইল ফোনের ব্যবসায় নেমেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। চলতি গ্রীষ্মের মধ্যেই সোনার ফোন বিক্রি করবে ট্রাম্প কোম্পানি। আর এই ফোনের নাম দেওয়া হয়েছে ট্রাম্প ফোন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পদ থেকে লাভবান হচ্ছেন এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য জননীতি বিকৃত করতে পারেন বলে নৈতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও এটি তার নতুন উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ যুক্ত হলো।
ব্যবসায় ট্রাম্পের অনুপস্থিতিতে তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ট্রাম্প অর্গানাইজেশন পরিচালনাকারী ছেলে এরিক ট্রাম্প দেশপ্রেমের উপর জোর দিয়ে বলেছেন, ফোনগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করা হবে এবং ফোন পরিষেবা দেশে একটি কল সেন্টারও রাখবে।
এপ্রিল মাসে কাতারে ঘোষিত একটি গলফ উন্নয়নসহ মধ্যপ্রাচ্যে টাওয়ার ও রিসোর্টের জন্য বেশ কয়েকটি রিয়েল এস্টেট চুক্তির পরে এই ঘোষণা এলো। ভিয়েতনামে গলফ কোর্স, হোটেল এবং রিয়েল এস্টেট প্রকল্প নির্মাণের জন্য ১৫০ কোটি ডলারের অংশীদারিত্ব গত মাসে অনুমোদিত হয়েছিল, যদিও ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার আগে চুক্তিটি হয়েছিল।
এরিক ট্রাম্প জানিয়েছেন, গ্রাহকরা এমন একটি ফোন পাওয়ার যোগ্য যা তাদের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কঠোর পরিশ্রমী আমেরিকানরা এমন একটি ওয়্যারলেস পরিষেবা পাওয়ার যোগ্য যা সাশ্রয়ী মূল্যের, তাদের মূল্যবোধ প্রতিফলিত করে এবং নির্ভরযোগ্য মানের পরিষেবা প্রদান করে যার উপর তারা নির্ভর করতে পারে।”
সোমবার ট্রাম্প অর্গানাইজেশন জানিয়েছে, আগস্টে ৪৯৯ ডলারে পাওয়া নতুন সোনালী রঙের ফোনটির নাম হবে টিওয়ান। ট্রাম্প মোবাইল এটি ডিজাইন বা তৈরি করবে না, বরং অন্য কোনো কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি করা হবে।
ট্রাম্প অর্গানাইজেশন এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার জন্য বারবার অনুরোধের জবাব দেয়নি এবং মন্তব্য করেনি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।