কদমফুল, যা বাংলার বর্ষার প্রতীক, ভালোবাসার এক মৌন প্রতিচ্ছবি। বৃষ্টির ফোঁটার মতোই কদম ফুটে ওঠে প্রকৃতির আঁচলে নিভৃতে, কোমলতায়, যেন জলভেজা দুপুরের শান্ত প্রতিচ্ছবি। এ ফুলকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছে রঙ বাংলাদেশের পোশাকের গল্প। বর্ষা যেমন রোমান্টিক, কখনও বা বিষণ্ন, আবার কখনও উজ্জ্বল আনন্দের প্রতীক, তেমনি রঙ বাংলাদেশের নতুন পোশাক লাইনেও বর্ষার সেই বহুমুখী রূপ প্রতিফলিত হয়েছে। এই বিশেষ সংগ্রহে ব্যবহৃত কাপড়ের মধ্যে রয়েছে কটন, যা বেশ আরামদায়ক। সঙ্গে স্কিন প্রিন্টে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কদমফুলের সঙ্গে সবুজের সমারোহ। শাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে কটন ফেব্রিক আর ডিজিটাল প্রিন্টের চমৎকার ফুলেল সৌন্দর্য। পোশাকের ডিজাইনে কদমফুলের প্যাটার্ন, রঙের বাহুল্য এবং আবেগী নকশাগুলোর মধ্যে ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর ঐতিহ্যের প্রতিফলন দেখা যাবে। পরিবারের সবাই মিলে বৃষ্টিবিলাস করতে বা বাইরে কোথাও বর্ষা উদযাপন করতে কদমফুল থিমের এ ফ্যামিলি সিরিজটি হবে আদর্শ। নতুন সংগ্রহের প্রতি আগ্রহী ক্রেতার জন্য রঙ বাংলাদেশের ব্র্যান্ড স্টোর এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ পোশাকগুলো পাওয়া যাবে। v
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ য শন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন।
তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে।
কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”
জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/এস