ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মাদকসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী খালেদ মোহাম্মদ তূর্য (২৭) গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ সময় তূর্যর কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী আইরিন আক্তারকেও (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার রাত ১২টা ৪০মিনিটে শহরের ঝিলতুলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তূর্য চরকমলাপুর এলাকার তুষার শিকদারের ছেলে এবং আইরিন একই এলাকার হালিম শেখের মেয়ে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে তূর্যের বাড়ির বাথরুমের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে ৬০টি ইয়াবা ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তূর্য ফরিদপুর শহরে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত এবং তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি ছোট একটি রুম ভাড়া নিয়ে মাদক কারবার পরিচালনা করতেন। তার স্ত্রী আইরিনও এ কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাদের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।

পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।

বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ