বিদেশি গণমাধমে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধ সহজ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
Published: 18th, June 2025 GMT
বিদেশি গণমাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারের খরচ হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠানো যাবে। ফলে ফেসবুক-ইউটিউবের মতো সামাাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিদেশি গণমাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপনের বিল পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিতে হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে প্রকাশিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, যেসব দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পণ্যপরিচিতি বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো বিদেশে প্রচার করছে, তারা এখন থেকে অনুমোদিত (এডি) ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পাঠাতে পারবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, এসব লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে কিছু নির্ধারিত নথিপত্র নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বৈধ চুক্তিপত্রের কপি, বিলের কপি, কর পরিশোধের প্রমাণসহ খরচ ও প্রাপ্য অর্থের হিসাব, ভুল বা অতিরিক্ত অর্থ পাঠালে তা ফেরত আনার মুচলেকা।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যাংকের শাখাকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে মনোনয়ন দিতে হবে। প্রয়োজনে তা পরিবর্তন করা যাবে, তবে লিখিত অনুরোধের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট নতুন শাখায় স্থানান্তর করতে হবে।
এ ছাড়া মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন রোধে গ্রাহকপরিচিতি যাচাই, নিয়মিত প্রতিবেদন পাঠানোসহ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪৭-এর বিধিনিষেধ যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে বৈদেশিক বিপণনে নিয়োজিত দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সময় ও প্রশাসনিক জটিলতা কমবে। ফলে রপ্তানিবান্ধব উদ্যোগ আরও উৎসাহিত হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৬০ হাজার ৮০২ টন গম নিয়ে দেশে এল যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত ৬০ হাজার ৮০২ মেট্রিক টন গম নিয়ে এমভি স্পার এরিস নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে।
সোমবার (২ নভেম্বর) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
আমি থাকাকালে তাইওয়ানে হামলার ‘পরিণতি কী হবে’ চীন জানে: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশের সরকারে মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আলোকে জি টু জি ভিত্তিতে এ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হয়। বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) চুক্তিটি সই করে। এর আওতায় মোট ৪ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।
জাহাজে রক্ষিত গমের নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষে দ্রুত গম খালাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ২৫ অক্টোবর প্রথম চালান হিসেবে ৫৬ হাজার ৯৫৯ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশে পৌঁছায়।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ