ময়মনসিংহ নগরের গাঙ্গীনারপাড় মোড়ে বিপণিবিতানে দোকানের মালপত্র লুট করে বাইরে নতুন তালা লাগিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সকাল ১০টায় এই লুটের ঘটনা ঘটে।

গাঙ্গীনারপাড় মোড়ে অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার জিরো পয়েন্ট নামের মুঠোফোন সেট বিক্রির দোকানে এই লুটের ঘটনা ঘটে। দোকানের মালিক হৃদয় খান নগরের বাঁশবাড়ি কলোনি এলাকার বাসিন্দা।

প্রতিদিন সকাল ১০টার দিকে বিপণিবিতানটির প্রধান ফটক খুলে দেওয়া হয়। এর আগেই ওই দোকান থেকে মালপত্র লুট করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ থেকে দেখা যায়, সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে প্রধান ফটক খুলে দেওয়ার পর পাঁচজনের একটি দল ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ভবনের তৃতীয় তলায় ঘুরাঘুরি শুরু করে। ১০টার দিকে জিরো পয়েন্ট নামের মুঠোফোনের দোকানের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে দুজন। বাইরে পায়চারি করতে থাকে অন্য তিনজন। ১০টা ৭ মিনিটে ব্যাগে মুঠোফোন ভরে দোকান থেকে বের হয় ওই দুজন। যাওয়ার সময় তারা দোকানটিতে নতুন একটি তালা লাগিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী হৃদয় খান বলেন, বেলা ১১টার দিকে দোকানে এসে দেখেন নতুন তালা লাগানো। পরে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। দোকান থেকে ২৮৫টি মুঠোফোন লুট হয়েছে, যার মূল্য ৬০ লাখ টাকা। এ ছাড়া নগদ ১০ লাখ টাকাও নিয়ে গেছে।

খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে থানা–পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ