বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেছেন, সংস্কার কাদের নিয়ে হবে? আমরা মনে করি, সংস্কার কমিশনের আগে সংস্কার করা জরুরি। সংস্কারের পর ধাপে ধাপে সংস্কার করতে গেলে দেশের অবস্থা খারাপ হবে। সংস্কারও দরকার, নির্বাচনও দরকার।

রোববার সকালে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী নানুপুর চৌরাস্তার মোড় এলাকায় এক সংবর্ধনা ও চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

হাবিবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, অনেকগুলো সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি নারী অধিকার সংস্কার। নারী সংস্কারের নামে যে প্রস্তাবনা এসেছে, তা জাতি জানতে পেরেছে, ওলামায়ে কেরামেররা এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ সংস্কারের  প্রস্তাবনা যদি বাস্তবায়ন হয়, তাহলে এ দেশের মুসলমান বলতে কিছু থাকবে না। 

তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে সব রাজনৈতিকদল একত্রে বসলে, আমরা কী ধরনের নির্বাচন আশা করি, তা জানালে হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়। ধাপে ধাপে বসে প্রস্তাব নিলে সঠিক সংস্কার হবে না।

খেলাফত আন্দোলনের আমির বলেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ নির্বাচন চায়। বিগত কয়েকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। এ দেশের জনগণ তাদের মেনে নিতে পারেনি। বিগত সরকারের আমলের ভয়ংকর চিত্রের কথা সবার জানা। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় আসার চিন্তা করছে, তাদের কর্মকাণ্ড হয়তো আরও ভয়ংকর হবে। সাধারণ মানুষ এখন বিষয়গুলো চিন্তা করছে ও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তারা ইসলামী দলগুলোর বিজয় দেখতে চায়। সেই মোতাবেক ইসলামী দলগুলো চেষ্টা করছে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার। 

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, সম্প্রতি এ বিষয়ে অনেক কথা উঠছে, আমি মনে করি এটিকে সমর্থন করার মতো। কারণ বাংলাদেশের সব মানুষের ভোটের ফল এখানে নিশ্চিত হবে। নির্বাচন হলে দেখা যায়- ৩০০ আসনে চার হাজার প্রার্থী থাকে, কিন্তু নির্বাচিত হয় ৩০০ জন। অন্যদিকে বাকি প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছেন, সেটি কোনো কাজে লাগে না। এটি হতে পারে না। তাই পিআর পদ্ধতি সব ভোটারের ভোট কাজে লাগবে। যেহেতু আমাদের দলে নীতিনির্ধারক অনেক নেতা আছেন, তাই তারা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মত হচ্ছে পিআর পদ্ধতি থাকলে ভালো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদেক হক্কানী, যুগ্ম মহাসচিব ও  খেলাফত আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান রোকন, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সফিকুল ইসলাম, জামিয়া ইয়াহ ইয়া উলুমুল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক তৈয়বুর রহমান প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ