মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা: আরো দুই আসামি গ্রেপ্তার
Published: 13th, July 2025 GMT
রাজধানীর মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে সোহাগ হত্যায় মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
রবিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘সোহাগ হত্যা মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রয়েছেন ১৯ জন। এর মধ্যে, এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মোটিভ (উদ্দেশ্য) জানার চেষ্টা চলছে।’’
আরো পড়ুন:
বিল্লালের দোষ স্বীকার, আশঙ্কামুক্ত চাঁদপুরের সেই খতিব
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ
ডিসি তালেবুর রহমান আরো বলেন, ‘‘ঘটনার দিন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রধান অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে মহিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত তারেক রহমান রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’’
উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে লালচাঁদ ওরফে সোহাগ নামের ওই ব্যবসায়ীকে একদল সন্ত্রাসী পিটিয়ে ও পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করেন। পরদিন নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা/এমআর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আস ম গ র প ত র কর ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
জয়পুরহাটে সম্মেলন পণ্ডের ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাসহ সাতজনকে বহিষ্কার
জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সম্মেলন পণ্ড করার ঘটনায় সংগঠনটির জেলা পর্যায়ের এক নেতাসহ সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটি ছাত্রদলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও প্রচার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন ছাত্রদলের জয়পুরহাট জেলা শাখার সহসাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখার সদস্যসচিব পিয়াস আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর চৌধুরী ও আহাদ হোসেন, জয়পুরহাট শহর শাখার সদস্যসচিব হাসানুল বান্না ও যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাফ হোসেন এবং শহীদ জিয়া কলেজ শাখার সভাপতি রাকিবুল করিম।
আরও পড়ুনজয়পুরহাটে ছাত্রদলের কাউন্সিল ঘিরে সংঘর্ষ, সাত নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ১৭ আগস্ট ২০২৫ওই সাত নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য ছাত্রসংগঠনটির সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর গত ১৫ আগস্ট বিকেলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজে শাখা ছাত্রদলের সম্মেলনের আয়োজনের কথা ছিল। এ উপলক্ষে আগেই ৫৪৬ জনের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় ছাত্রদলের কয়েকজনের নাম না থাকার অভিযোগ তোলা হয়। পরে ৫৫৩ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদলের একটি পক্ষ সম্মেলন বয়কটের ডাক দিয়ে ১৪ আগস্ট রাতে শহরে মশালমিছিল বের করে। সম্মেলনের দিন বেলা ১১টা থেকে ওই কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর চৌধুরী ও আহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি পক্ষ কলেজটির ফটকে অবস্থান নেন। এ কারণে বেলা তিনটায় নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন করতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা। ওই দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শাখা ছাত্রদলের নেতা হাবিবুর রহমান একটি মিছিল নিয়ে কলেজ ফটকের দিকে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ সাতজন আহত হন।
ওই ঘটনার পর সংগঠনটির কলেজ শাখার সম্মেলন হয়নি। এ ঘটনায় ছাত্রদলের সাত নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এরপর গতকাল সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ওই সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মামুন প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলামের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁরা কেউই ধরেননি। তবে রাইসুল ইসলাম আগেই জানিয়েছিলেন, গত ১৫ আগস্ট বিকেলে জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজন করা হয়। সেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায় সংগঠনটির সাত নেতা-কর্মীকে কেন্দ্র থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।