গত ২১ জুলাই রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই পরিণত হয় মৃত্যুপুরীতে। স্বজনদের আহাজারি ছুঁয়ে গেছে গোটা দেশবাসীকে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন নগরবাউল জেমস।  

নগরবাউল জেমসের অফিশিয়াল ফেসবুকে পেজে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, “ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি একটি এফ-৭ জেট বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। মূল্যবান এই প্রাণহানির জন্য নগরবাউল এবং দলের সকল সদস্যরা আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এই কঠিন সময়ে আহত শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা।” 

জরুরি সেবাদানকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পরপরই দ্রুত এবং সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং সমস্ত জরুরি সেবাদানকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।” 

আরো পড়ুন:

চবির আলাওল হলে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ, ভোগান্তি

‘হেরে গেলেন মা মাহেরীন, জিতে গেলেন শিক্ষিকা মাহেরীন’

প্রার্থনার মাধ্যমে বিবৃতির ইতি টেনেছেন। সর্বশেষ বলা হয়, “সর্বশক্তিমান আল্লাহ মৃতদের আত্মার চির শান্তি, আহতদের পূর্ণ সুস্থতা এবং শোকাহত পরিবারকে শক্তি দান করুন।”  

জেমস এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। এ সফরে দেশটির বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিচ্ছেন। আগামী ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘নগরবাউল জেমস লাইভ ইন ফিলাডেলফিয়া’ শিরোনামে কনসার্ট। সেখানে পারফর্ম করবেন বরেণ্য এই তারকা। আগামী ২ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার উডব্রিজ শহরের ‘ফ্রিডম হাই স্কুলে’ অনুষ্ঠিত হবে তার আরেকটি কনসার্ট।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনা-ঢাকা রুটে আবারও বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

রাবেয়া বেগম আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা থেকে পাবনার বেড়াগামী আলহামরা পরিবহনের বাসে উঠেছিলেন। গন্তব্যের ২০ কিলোমিটার আগে পৌঁছার পর জানতে পারেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর হয়ে পাবনার বাস যেতে পারবে না। শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ডের অনেক আগে তালগাছি এলাকায় সব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁকে বেড়ায় পৌঁছাতে হয়।

পাবনা ও শাহজাদপুরের অনেক যাত্রীকে আজ রোববার দিনভর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই দুর্ভোগের কারণ, পাবনা ও শাহজাদপুর বাসমালিকদের পুরোনো দ্বন্দ্ব। আজ সকাল থেকে দুই এলাকার বাস চলাচল আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। পাবনা থেকে শাহজাদপুর হয়ে ঢাকা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে কোনো বাস চলাচল করছে না। একইভাবে শাহজাদপুর থেকেও পাবনার দিকে কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না।

বাসমালিক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের কারণে চলতি বছরেই অন্তত চারবার বাস চলাচল বন্ধ ছিল। আর গত সাত-আট বছরে বাস চলাচল বন্ধ ছিল অন্তত ৩০ বার। একবার বাস চলাচল বন্ধ হলে তা চালু হতে সময় লেগেছে পাঁচ দিন থেকে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত।

বাসমালিক ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা যায়, শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতি ও পাবনার নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রুট ও সময়সূচি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। পাঁচ-ছয় দিন আগে নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতির লোকজন শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতির মালিকানাধীন নবীনবরণ পরিবহন নামের একটি বাস আটকায়। এর প্রতিবাদে শাহজাদপুরের বাসমালিকেরা নগরবাড়ী সমিতির মালিকানাধীন বাসগুলো চলাচলে বাধা দেন। ঘটনার জেরে গতকাল শনিবার পাবনার দাশুড়িয়ায় নবীনবরণ পরিবহনের একটি বাস আটকে রাখে পাবনা বাসমালিক সমিতি। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় আজ সকালে শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতি শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে পাবনার সব বাসের চলাচল বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে পাবনার সড়ক দিয়েও শাহজাদপুরের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাবনা ও শাহজাদপুর উভয় সমিতির দুই শতাধিক বাস আজ সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীদের পাশাপাশি পরিবহনশ্রমিকেরাও।

এদিকে পাবনা থেকে বেড়া হয়ে ঢাকাগামী বেশির ভাগ পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। দু–একটি বাসের কাউন্টার খোলা থাকলেও সেসব বাস বেড়া থেকে যাত্রী নিয়ে কাজীরহাট ফেরিঘাট হয়ে অথবা নাটোরের বনপাড়া হয়ে প্রায় ১০০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে ঢাকা যাচ্ছে।

পাবনা এক্সপ্রেস পরিবহনের বেড়া কাউন্টারের ব্যবস্থাপক মঞ্জুরুল হাসান বলেন, ‘শাহজাদপুর হয়ে পাবনার কোনো বাস যেতে না পারায় আমাদের বাসগুলো হয় ফেরি হয়ে, না হয় নাটোরের বনপাড়া ঘুরে ঢাকা যাচ্ছে।’

শাহজাদপুর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পাবনা ও নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতি আমাদের বাস চলাচলে বাধা দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীদের যেমন দুর্ভোগ হচ্ছে, তেমনি উভয় মালিক সমিতিরই ক্ষতি হচ্ছে। দুই পক্ষ আলোচনায় বসলে আশা করি সমাধানের পথ পাওয়া যাবে।’

পাবনা বাসমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোমিন মোল্লা বলেন, ‘শাহজাদপুর বাসমালিক সমিতির লোকজন প্রায় এক মাস ধরে নগরবাড়ী বাসমালিক সমিতির বাসগুলো শাহজাদপুরের ওপর দিয়ে যেতে দিচ্ছিল না। আজ থেকে তারা পাবনার সব বাসের চলাচল বন্ধ করে দিল। শাহজাদপুর মালিক সমিতি ছোটখাট যেকোনো ব্যাপার হলেই তাদের এলাকার ওপর দিয়ে পাবনার বাস চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাবনা-ঢাকা রুটে আবারও বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা