রাশিয়ার নিখোঁজ হওয়া একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ জন আরোহী ছিলেন।

চীন সীমান্তবর্তী রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এটির মূল কাঠামো আগুনে জ্বলছিল। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের গভর্নর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণকক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এএন-২৪ উড়োজাহাজটির খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।

স্থানীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ও বলেছিল, সাইবেরিয়াভিত্তিক এয়ারলাইনস আনগারার উড়োজাহাজটি চীন সীমান্তঘেঁষা আমুর অঞ্চলের তুনদার শহরের দিকে যাওয়ার পথে রাডারের স্ক্রিন থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

আঞ্চলিক গভর্নর ভাসিলি অরলভ প্রাথমিক তথ্যের বরাতে বলেন, উড়োজাহাজটিতে ৪৩ জন যাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচটি শিশু। এ ছাড়া উড়োজাহাজে ক্রু ছিলেন ছয়জন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ভাসিলি অরলভ লেখেন, উড়োজাহাজটির সন্ধানে প্রয়োজনীয় বাহিনী ও উপকরণ মোতায়েন করা হয়েছে।

জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় উড়োজাহাজটিতে ৪০ জনের মতো আরোহী থাকার কথা বলেছে।

আরও পড়ুনমস্কোর কাছে রুশ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত১২ জুলাই ২০২৪

এদিকে সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স রুশ জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের বরাতে বলেছে, উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ তুনদা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার (১০ মাইল) দূরে একটি পাহাড়ে পাওয়া গেছে।

টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ওই বিভাগের কর্মকর্তা ইউলিয়া পেতিনা বলেন, ‘তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় রোসাভিয়াতসিয়ার (রুশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) একটি মিগ-৮ হেলিকপ্টার উড়োজাহাজটির ফিউজালাজ (মূল কাঠামো) আবিষ্কার করে। সেটি আগুনে জ্বলছিল।’

আরও পড়ুনরাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, যাত্রীতালিকায় প্রিগোশিন২৩ আগস্ট ২০২৩.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিএলে বিদেশি দল, এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটার

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন আজকের নয়। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ যে মানের হয়, যেভাবে আয়োজন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে হরহামেশা। অতীতে সমালোচনার পর কিছুটা মান বেড়েছে। কিন্তু তারপরও ‘আপ টু মার্ক’ হয়নি।

বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে দিব‌্যি পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা যখন জাতীয় দলে এসে ধুকতে থাকেন তখন তারতম‌্য প্রকটভাবে ফুটে উঠে। এজন‌্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটারকে নিয়ে আসতে চায় বিসিবি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে যুক্ত করতে চায় বিদেশি দল।

বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম‌্যান আকরাম খান রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

তিন সপ্তাহের জন্য আসছেন উড, মনোবিদ স্কট

সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার বেলায়েত হোসেন মারা গেছেন

বিসিএল শুরু থেকে ছিল ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রতিযোগিতা। ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন, প্রাইম ব‌্যাংক সাউথ জোন, ইসলামী ব‌্যাংক ইষ্ট জোন ও বিসিবি নর্থ জোন নামে চারটি দল শুরুর কয়েক বছর বিসিএলে অংশ নিয়েছে। পেশাদারিত্বের ঘাটতি, পরিকল্পনার অভাব এবং বাণিজ‌্যিকভাবে লাভবান না হওয়ায় তিনটি ফ্রাঞ্চাইজি ধীরে ধীরে সরে যায়। পরবর্তীতে বিসিবি চারটি দলই নিজস্ব খরচে পরিচালনা করে বিসিএল চালু রাখে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাব বোঝা যায়।

এজন‌্য বিসিবি সামনের আসরে বিদেশ থেকে একটি দল নিয়ে আসতে চায়। শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে। বিসিএল যেই সময়ে আয়োজন করতে চাচ্ছে সেই সময়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে ব‌্যস্ত থাকবেন। আফগানিস্তানকে চূড়ান্ত করার পথে হাঁটছে। বিসিবির পুরো খরচেই অতিথি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বাকি তিনটি দল গঠন করবে বিসিবি।

আকরাম খান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রথমবারের মতো বিসিএলে একটি বিদেশি দলকে পেতে যাচ্ছি। হয়তো তারা এ দল হিসেবে আসবে। নয়তো অন‌্য কোনো নামে। এক মাস এই টুর্নামেন্ট চলবে। ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’

এদিকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে বিদেশি ক্রিকেটার অন্তর্ভূক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা যুক্ত হবেন, কিভাবে আসবেন, পারিশ্রমিক কত হতে পারে সেসব নিয়ে এখনও কোনো উপায় খুঁজতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে ভালোমানের বিদেশি খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে।

তাদের পারিশ্রমিক চূড়ান্ত করা, পুরো আসরে অ‌্যাভেইলেভেল থাকবেন কিনা সেসব নিয়েও কাজ হচ্ছে। এজন‌্য আগেভাগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চান না আকরাম।

আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই স্তরে জাতীয় ক্রিকেট লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। আট দলে একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার রাখার ইচ্ছা বিসিবির। অতীতে বিদেশি ক্রিকেটার জাতীয় ক্রিকেট লিগে অংশ নিয়েছে। ইমরান ফরহাদ, আমির ওয়াসিমরা খেলেছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রথম শ্রেণির এই টুর্মামেন্টে।

মূলত প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং মান বাড়াতে এই উদ‌্যোগ নিতে যাচ্ছে আয়োজকরা। যদিও একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম প্লেয়িং কন্ডিশনে সব সময়ই ছিল, ছিল সর্বশেষ মৌসুমেও। বিভাগীয় দলগুলো আগ্রহ না থাকায় বিসিবিও জোর দেয়নি। তবে এবার বিসিবি বিদেশি ক্রিকেটারকে যুক্ত করবে। পাশাপাশি তাদের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টিও দেখভাল করবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ