বরগুনার তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের হরিণ খোলা ছিএনএ দাখিল মাদ্রাসার মাঠ দখল করে ধানের বীজতলা করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন মোল্লা। এতে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খেলাধুলা, শরীরচর্চা বন্ধ হয়ে গেছে।

সরেজমিন দেখা যায়, গ্রামের মেঠো পথের ধারে হরিণ খোলা ছিএনএ দাখিল মাদ্রাসা। প্রতিষ্ঠানটির সামনে উড়ছে জাতীয় পতাকা। শ্রেণিকক্ষে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। মাদ্রাসার মাঠ ঘিরে খুটি পুঁতে জাল দিয়ে ঘেরাও করে সেখানে ধানের বীজতলা করা হয়েছে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত খেলাধুলা, শরীরচর্চা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে তাদের স্কুলে যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। 

জুনায়েদ, আল আমিন, সোহেলসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তারা প্রতিদিন বিকালে মাদ্রাসার মাঠে খেলাধূলা করত। এখন মাঠ দখল করে বীজতলা করা হয়েছে। এতে তাদের খেলাধূলা বন্ধ হয়ে গেছে। 

আরো পড়ুন:

বাকৃবিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চান শিক্ষার্থীরা, একমত না শিক্ষকরা

কুবির নজরুল হল থেকে গুলি ও গাঁজা উদ্ধার

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন মাঠ দখল করেছেন। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারছে না। 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে মাঠের ব্যবহার করেছি। তাও আমার জন্য না। এলাকার একজন কৃষকের জন্য।’’ ‌

মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মুজ্জাম্মেল হুসাইন বলেন, ‘‘মাদ্রাসা মাঠে ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন বীজতলা করেছেন। এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে আলোচনা করেননি বা অনুমতি নেননি। তাকে ফোন করেছি কিন্তু গুরুত্ব দেননি।’’

তালতলী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, ‘‘বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছু জানায়নি। খেলার মাঠ দখল করার সুযোগ নেই। আমি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবো।’’ 
 

ঢাকা/ইমরান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জতল

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম বদল

এবার একযোগে ৪ কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার ৯ ফেব্রুয়ারির জারি করা চিঠির নির্দেশনার আলোকে ৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হলো।

নাম পরিবর্তন হওয়া কলেজগুলো হলো

বরিশালের শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, খুলনার সরকারি জয়বাংলা কলেজ, কিশোরগঞ্জের জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ ও রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ।

নাম পরিবর্তন হওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনা হলো

বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, বরগুনা সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ঢাকা কলেজের শেখ কামাল হল ও লে. শেখ জামাল একাডেমিক ভবন, শরীয়তপুর সরকারি কলেজের শেখ রাসেল ছাত্রাবাস, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ লুৎফর রহমান একাডেমিক ভবন, সরকারি তিতুমীর কলেজের ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন, শেখ কামাল প্রশাসনিক ভবন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, শেখ কামাল ছাত্রাবাস, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, নরসিংদী সরকারি কলেজের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হোস্টেল, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বঙ্গবন্ধু ছাত্রাবাস, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, চাঁদপুর সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, বৃন্দাবন সরকারি কলেজে দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও শেখ ওয়াজেদ বিজ্ঞান ভবন, মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক কাম-এক্সামিনেশন হল, সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শেখ কামাল ছাত্রাবাস, শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস ও শেখ রাসেল ছাত্রনিবাস, দিনাজপুর সরকারি কলেজের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস, সরকারি হাজী আবদুল বাতেন কলেজের শেখ রাসেল ভবন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের শেখ হাসিনা একাডেমিক ভবন ও শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস, সরকারি বাঙলা কলেজের নবনির্মিত ভবন। এ ছাড়া যেসব সরকারি কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে তার নাম হবে আইসিটি ল্যাব।

আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫

গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের নামে থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২৮ মে-এর প্রজ্ঞাপনে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবস্থিত সরকারি শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের নামও রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নতুন নাম দেওয়া হয় ‘কাপাসিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাম বদলের প্রতিবাদ করেন তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজসহ অনেকে। সমালোচনার মুখে পরে ১ জুলাই কলেজটির নাম বহাল রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

তালিকা দেখুন এখানে

আরও পড়ুনকমনওয়েলথ ফেলোশিপে আবেদনের সুযোগ, মাসে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সঙ্গে নানা সুবিধা৭ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনএকাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে৪ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ