গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তির তারিখ ঘোষণা, ক্লাস শুরু ১১ আগস্ট
Published: 31st, July 2025 GMT
গুচ্ছভুক্ত (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে চূড়ান্ত ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী ৩ আগস্ট। এই ভর্তি কার্যক্রম চলবে ৭ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১১ আগস্ট থেকে ক্লাস শুরু হবে। ভর্তিসংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্টুডেন্ট প্যানেলে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থী তাঁর মূল নম্বরপত্র অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিয়ে থাকেন, তবে তা নিজ দায়িত্বে সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে কোনো ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। গুচ্ছভুক্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে ১১ আগস্ট থেকে। এ ছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের নতুন ‘ভিসা ইন্টেগ্রিটি ফি’ ২৫০ ডলার, দিতে হবে শিক্ষার্থীদেরও২২ জুলাই ২০২৫২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। এর আগে কেবল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী গুচ্ছভুক্ত নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত যোগ্যতা অনুসারে পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছেন। ভর্তি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য বিবেচিত হয়েছেন। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই তাঁর এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার শাখা (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) অনুযায়ী একটি মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ড শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়াচ্ছে কর্মঘণ্টা, আরও নতুন যে যে উদ্যোগ২২ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভর ত র পর ক ষ ত ভর ত আগস ট
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি