দেখে মনে হতে পারে হারার চেষ্টা করেছিল দুই দলই! আর শেষ পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে পাকিস্তান দল!

কিন্তু নিশ্চয়ই ঘটনা আসলে এমন নয়। আজ ফ্লোরিডায় পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি দুই দলই জিততেই চেয়েছিল। তবে দুই দলের একের পর এক ভুল দেখে কিছু সময়ের জন্য সমর্থকদের মনে হতে পারে—কোনো দলই জিততে চায় না।

শেষ পর্যন্ত জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাও শাহিন আফ্রিদির করা ম্যাচের শেষ বলে ৪ রানের সমীকরণ মিলিয়ে। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান তুলেছিল ১৩৩ রান। সেই রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ টপকেছে ২ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচের শেষ বলে। তাতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরেছে সমতা। সিরিজের শেষ ম্যাচ আগামীকাল।

ব্যাট হাতে এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জিতিয়েছেন হোল্ডার ও রোমারিও শেফার্ড। এই দুজনের কল্যাণে মিলেছে শেষ তিন ওভারে ৩৬ রানের সমীকরণ। ইনিংসে ১৮তম ওভারে আফ্রিদির বলে হোল্ডার একটি ছক্কা ও শেফার্ড মারেন এক চার। তাতে সেই ওভার থেকে আসে ১২ রান। এরপর হাসান আলীর ওভার থেকে ১৬ রান তোলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন পড়ে ৮ রান।

টানা ৬ টি-টোয়েন্টি হারের পর জয়ের মুখ দেখল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েতে প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর দূতাবাস

প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা যখন নিয়ম রক্ষায় কঠোর হন, তখন স্বার্থান্বেষী মহল প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালায়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জন্য এ কঠোরতা অপরিহার্য। কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়েছে, যা সাধারণ প্রবাসীদের কাছে প্রশংসিত হলেও দালাল চক্রের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা আহমদ উল্লাহ বলেছেন, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক ভালো সেবা দিচ্ছে। বিশেষ করে, নতুন ভিসা সত্যায়িত করার ক্ষেত্রে দূতাবাস যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরো নিরাপদ করতে সহায়ক হবে।

আগে নতুন ভিসা সত্যায়িত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির প্রয়োজন হতো না, যা দালালদের জন্য অবাধ সুযোগ তৈরি করেছিল। বর্তমানে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনের নির্দেশে কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছে। এখন থেকে ভিসা সত্যায়িত করতে হলে অবশ্যই নিয়োগকারী ব্যক্তি বা তার নিবন্ধিত প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে হবে। 

এ নিয়ম প্রবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন।

তিনি বলেন, এ কঠোরতার কারণে ভিসা দালালরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভিসা সত্যায়িত করতে পারছে না। ফলে, দূতাবাস থেকে সত্যায়িত না হওয়ায় তারা বাংলাদেশ থেকে নতুন লোক আনতে পারছে না। এতে দালাল চক্রের আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় তারা দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

সম্প্রতি কুয়েতের ক্যাপ টেক নামের একটি কোম্পানিতে কাজ করা ১৩০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ধর্মঘট করেন। কুয়েতের আইন অনুযায়ী ধর্মঘট নিষিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং ইতোমধ্যে অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেছেন, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ তারেক হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক নেতারা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে ভুক্তভোগী শ্রমিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর পেছনে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ভিসা দালালদের যোগসাজশ থাকতে পারে। কারণ, পুরনো শ্রমিকদের ফেরত পাঠিয়ে তারা নতুন করে ভিসা বিক্রি করে আরো বেশি লাভবান হতে চাইছে।

তিনি বলেন, দূতাবাসের প্রতিটি কাজ নিয়মের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হবে এবং প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় দূতাবাস সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা। এই কঠোরতা এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রবাসীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কল্যাণ বয়ে আনবে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ