দেশে ডিজিটাল সেবা বাড়াতে বাংলালিংক ও বিকাশের চুক্তি
Published: 4th, August 2025 GMT
দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও সেবার সুযোগ বাড়াতে অংশীদারত্ব চুক্তি করেছে ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক ও এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এ অংশীদারত্বের ফলে বাংলালিংকের গ্রাহকেরা এখন থেকে বিকাশের মাধ্যমে এসএমএসভিত্তিক সমাধান, ডেটা প্যাকেজ সেবা ও সহজ পেমেন্ট সুবিধা পাবেন।
সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি সই হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এবং বিকাশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীরসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ অংশীদারত্বের ফলে প্রতিষ্ঠান দুটি ডিজিটাল সুবিধাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির প্রসারে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘দেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি সমাধান ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগসেবার মাধ্যমে ডিজিটাল রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে কাজ করব। বিকাশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারত্ব গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও দেশজুড়ে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি আরও বৃদ্ধি করবে।’
বিকাশের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, ‘এ ধরনের অংশীদারত্ব দীর্ঘ মেয়াদে গ্রাহকদের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলালিংকের মতো অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আস্থার পরিবেশ গড়ে তুলব।’
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস পরিচালক রুবাইয়াত এ তানজিন, কি সেগমেন্ট প্রধান সাদ মোহাম্মদ ফাইজুল করিম, সেলস প্ল্যানিং অ্যান্ড অপারেশনস প্রধান মোহাম্মদ আহাসুন হাবিব, করপোরেট গ্রুপ ব্যবস্থাপক এস এম ফাহাদুজ্জামান ও করপোরেট অ্যাকাউন্ট ব্যবস্থাপক এস এম রাশেদুজ্জাহান উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বিকাশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রধান মোহাম্মদ রাশেদুল আলম, টেকনোলজি ও জেনারেল প্রকিউরমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ফয়সাল বিন রায়হান, এসসি গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থাপক মশিউর রহমান ও এসসি গভর্ন্যান্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা তানজিদ হাসান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন ম হ ম মদ কর মকর ত করপ র ট
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ বারিধারায় জমে উঠেছে ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’
রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডার দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি মাঠে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’।
দক্ষিণ বারিধারা এলাকায় বসবাসকারীদের নিয়ে আজ শুক্রবার সকাল আটটায় এই আনন্দমেলা শুরু হয়। চলবে রাত আটটা পর্যন্ত।
আজ সকাল আটটার কিছু আগে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকেরা সন্তানদের নিয়ে আসছেন। সবার হাতে হাতে আঁকাআঁকির রং, পেনসিল, তুলি, খাতা, স্কেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।
মাঠে আসার পর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক শিশু-কিশোরদের মঞ্চের সামনে বিছানো কার্পেটে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী বেশি থাকায় অনেককে বসানো হয় মঞ্চে।
সকাল সাড়ে আটটায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সঞ্চালক এক থেকে দশ গুনে প্রতিযোগিতা শুরুর সংকেত দেন। শিশু-কিশোরেরা লেগে পড়ে রংতুলি দিয়ে আঁকার কাগজ রঙিন করে তুলতে।
আর সন্তানদের নিয়ে আসা অভিভাবকেরা পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে আঁকাআঁকি দেখতে থাকেন। এই প্রতিযোগিতায় কয়েক শ শিশু-কিশোরকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
মঞ্চে পাশাপাশি বসে আঁকছিল দুই ভাই মেহরাব তালহা ও মাহির তাহমিদ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের বাবা মনিরুজ্জামান জানান, মেহরাব দ্বিতীয় শ্রেণিতে আর মাহির নার্সারিতে পড়ে।
মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বড় ছেলের স্কুল মাঠের পাশেই। স্কুলে ছেলেকে আনা-নেওয়ার সময় তাঁর চোখে পড়ে এই মাঠে আনন্দমেলা অনুষ্ঠান আছে। পরে দুই ছেলেকে আগেই বলে রেখেছিলেন তাদের এখানে অংশগ্রহণ করাবেন। চিত্রাঙ্কনে ছোট ছেলে মাহিরের ঝোঁক বেশি বলে জানান তিনি।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মেহরাব জাতীয় স্মৃতিসৌধ আর মাহির শহীদ মিনারের ছবি আঁকছিল।
আনন্দমেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য বিস্কুট দৌড়, মার্বেল দৌড়, চকলেট দৌড়সহ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থাকছে।
এ ছাড়া মঞ্চে জাদু দেখানো, পুতুল নাচ, রোবট শো, মাসকট শোসহ আরও অনেক আয়োজন রয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, দুপুরের পর বাবা-মায়েদের জন্য আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য থাকবে উড়োজাহাজের টিকিটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’র টাইটেল স্পনসর এসিআই পিওর। ব্যবস্থাপনায় সহযোগী হিসেবে আছে দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি ও দক্ষিণ বারিধারা ইয়ুথ ক্লাব।