সরাইলে গর্তে ট্রাক আটকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানজট, বৃষ্টিতে ভোগান্তি চরমে
Published: 4th, August 2025 GMT
পণ্যবাহী ট্রাক গর্তে আটকে পড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সরাইল উপজেলার বেড়তলা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় ও কুট্টাপাড়া মোড় হয়ে শাহবাজপুর সেতু পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই যানজট চলছে। এর মধ্যে বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যানবাহনের হাজারো যাত্রী।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ের দুই দিকে নিত্যদিনের মতো ৪–৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট চলছিল। বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরের পশ্চিম অংশে পণ্যবাহী (ধান) একটি ট্রাক গর্তে পড়ে আটকে যায়। এর পর থেকে যানজট বাড়তে থাকে। রাত আটটার দিকে যানজট মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলা থেকে শুরু হয়ে শাহবাজপুর সেতু পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ যানজট বাড়ছেই।
সড়ক ও জনপথ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলছে ধীরগতিতে। ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ৭–৮ বছর ধরে তারা ধীরগতিতে কাজটি করছিল। নানা কারণে একাধিকবার কাজ বন্ধও হয়েছে। মহাসড়কের এক পাশের কাজ প্রায় শেষ হলেও বিভিন্ন স্থানে গর্তের কারণে সড়কটি যানচলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
যানজটের মধ্যে বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বর ড ম ড় য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
জুমে যুক্ত হচ্ছে এআই অ্যাভাটার, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) অ্যাভাটার (ছবি বা ইমোজি) ব্যবহারের সুযোগ চালু করছে জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্স সফটওয়্যার জুম। এই সুবিধা চালু হলে অনলাইন বৈঠকের সময় অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের চেহারার বদলে এআই অ্যাভাটার অন্যদের দেখাতে পারবেন। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে চলা অনলাইন বৈঠকে স্বাচ্ছন্দ্যে অংশ নেওয়া যাবে। জুম জানিয়েছে, ব্যবহারকারীরা শিগগিরই নিজেদের ‘ফটো রিয়েলিস্টিক’ বা বাস্তবসম্মত এআই অ্যাভাটার তৈরি করতে পারবেন। ফলে ক্যামেরার সামনে হাজির হওয়ার মতো প্রস্তুতি না থাকলেও মিটিংয়ে স্বচ্ছন্দে অংশ নেওয়া যাবে।
জুমের তথ্যমতে, ডিসেম্বর থেকে এআই অ্যাভাটার ব্যবহারের সুযোগ পাবেন ওয়ার্কপ্লেস ব্যবহারকারীরা। এআই অ্যাভাটার তৈরির জন্য ব্যবহারকারীদের নিজের একটি ছবি তুলে আপলোড করতে হবে। সেই ছবির ভিত্তিতে এআই অ্যাভাটার তৈরি করে দেবে জুম। এই অ্যাভাটারকে ব্যবহারকারী ইচ্ছেমতো পোশাকে সাজাতে পারবেন। বৈঠক চলাকালে অ্যাভাটারটি ব্যবহারকারীর নড়াচড়া ও মুখভঙ্গি অনুকরণ করবে। দেখে মনে হবে যেন সেই ব্যক্তিই কথা বলছেন।
এআই অ্যাভাটারের নিরাপত্তার বিষয়ে জুম জানিয়েছে, কেউ যাতে অন্য কারও রূপ নিয়ে বৈঠকে প্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য চালু করা হবে ‘লাইভ ক্যামেরা অথেনটিকেশন’ নিরাপত্তাব্যবস্থা। পাশাপাশি বৈঠক চলাকালে পর্দায় আলাদা একটি নোটিশ দেখা যাবে, যা জানাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অ্যাভাটার ব্যবহার করছেন। তবে এই নিরাপত্তাব্যবস্থা এখনো উন্নয়নের পর্যায়ে আছে। ফলে চালুর আগে নিয়মকানুনে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
গত জুনে এক সাক্ষাৎকারে জুমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক ইউয়ান জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে প্রত্যেকের একটি করে ‘ডিজিটাল টুইন’ বা ভার্চ্যুয়াল প্রতিরূপ থাকবে। সেই ডিজিটাল টুইন মালিকের হয়ে মিটিংয়ে যোগ দেবে বা ই–মেইলের উত্তর দেবে। জুম এখনো সেই ধাপে পৌঁছায়নি, তবে সে দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।
সূত্র: দ্য ভার্জ