৭১৮৭ রানের সিরিজে সেরা পাঁচে কারা ও ভারতীয় পেসারদের রেকর্ড
Published: 4th, August 2025 GMT
অবশেষে থামল লড়াই। পাঁচ ম্যাচের ধুন্ধুমার লড়াই শেষে ২-২-এ ড্র হলো ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট। ব্যাটসম্যানদের এই সিরিজে ভারতীয় পেসাররাও কিছু রেকর্ড গড়েছেন। রানপ্রসবা এই সিরিজে ব্যাটিং-বোলিংয়ের শীর্ষে পাঁচে জায়গা পেলেনই বা কারা।
৬
শেষ টেস্টে ভারতের জয়ের ব্যবধান। টেস্টে রানের হিসাবে ভারতের সবচেয়ে ছোট জয় এটি। আগের রেকর্ড ১৩, ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি রানের হিসাবে অষ্টম ছোট জয়।
২৩ • সিরিজে মোহাম্মদ সিরাজের উইকেট। ইংল্যান্ডে এক সিরিজে ভারতীয় বোলারদের রেকর্ডে যশপ্রীত বুমরার পাশে বসলেন সিরাজ। ২০২১-২২ সালে ভারতের সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন বুমরা।
• পাঁচ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই সিরিজেই সবচেয়ে বেশি উইকেট পেলেন সিরাজ। আগের রেকর্ড ২০, সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে (২০২৪-২৫)।
সিরিজে ভারতীয় পেসারদের ৫ উইকেট নেওয়ার সংখ্যা। যা এক সিরিজে দলটির রেকর্ড। আগের রেকর্ড ৪, ১৯৮১-৮২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের ভারত সফরে।
৭০সিরিজে ভারতীয় পেসারদের উইকেট। এক সিরিজে যা ভারতীয় পেসারদের তৃতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১-২২ সালে ইংল্যান্ডে সর্বোচ্চ ৭৩ উইকেট নিয়েছিলেন তাঁরা। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ৭২টি।
৭১৮৭সিরিজে দুই দল মিলিয়ে রান। টেস্টে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে যা সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডেই ৬ ম্যাচের অ্যাশেজে উঠেছিল ৭২২১ রান। ৫ ম্যাচের সিরিজে আগের রেকর্ড ৬৮২৬ রান, ১৯২৮-২৯ মৌসুমের অ্যাশেজে।
টেস্টে এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান* শুরুতে স্বাগতিক দলের নাম
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক