মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির মামলায় যুবকের সাত বছরের কারাদণ্ড
Published: 19th, August 2025 GMT
কক্সবাজার শহরের হিলটপ সার্কিট হাউস সড়কে এক মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় তারিকুল ইসলাম নামের এক যুবককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১) আদালতের বিচারক এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন। তারিকুল ইসলাম মামলার একমাত্র আসামি। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাজের পাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১০ মার্চ সকাল সোয়া আটটার দিকে শহরের হিলটপ সার্কিট হাউস সড়কে হাঁটার সময় এক মার্কিন নারীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন তারিকুল ইসলাম। এ সময় হইচই-চিৎকার শুরু হলে তারিকুল পালিয়ে যান। ওই দিন মার্কিন নারী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মার্কিন নারীর স্বামী কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। সেই সুবাদে শহরের একটি ভাড়া বাসায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। মামলাটির তদন্ত শেষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় করে পুলিশ। এর আগে ঘটনার দিনই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রায়ের বিষয়টি কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ খান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকালে আসামি তারিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।